টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ ৩ যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছেন, ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের শাহজানের ছেলে রিপন (১৮) ও তার অপর দুই সহযোগী একই এলাকার কুরবার (১৯) ও রুবেল (১৮)।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার চর কোনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে চিতুলায়া গ্রামের শাহজানের ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথন থেকে সখ্যতা গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় রিপন গত ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) মোটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে যমুনা সেতু এলাকার বেলটিয়া নামকস্থানে বেড়াতে নিয়ে যায়।
সেখানে আগে থেকেই নৌকা ভাড়া করে অপেক্ষায় ছিল রিপনের কয়েকজন সহযোগী। তারা ছাত্রীটিকে যমুনা নদী দেখানোর কথা বলে নৌকায় তুলে। নৌকা মাঝ নদীতে পৌছালে রিপন, আলামিন ও নয়নসহ অন্যরা ছাত্রীটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর ওই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে তাদের বন্ধু আলামিন। পরে তারা ধারনকৃত ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এলাকার লোকজন ইন্টরনেটে ধর্ষণের ভিডিওটি দেখে তা ডাউনলোড করে। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
মেয়েটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মঙ্গলবার দুপুরে রিপন, রুবেল ও কুরবান নামের ৩ জনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে যায়।
ধর্ষিতার মামা জানান, মেয়েটি নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। ধর্ষণের সময় মেয়েটি বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া বিষয়টি জানাজানি করলে ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলে হুশিয়ারীও দেয়া হয়। মেয়েটি ঘটনাটি আমাদের জানালে আমরা গোপনে ভিডিও উদ্ধারে তৎপর হলেও ধর্ষকরা ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফজলুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিকভাবে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপর আসামীদের আটকে অভিযান চলছে।