মো. রবিউল ইসলামঃ মুক্তিযুদ্ধ না করেই বছরের পর বছর ভুয়া কাগজ দিয়ে অবৈধভাবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলণ করছেন টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের বাবর আলী খান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান ও আব্দুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধে আহত না হয়েও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ২০% যুদ্ধাহত ভাতা উত্তোলণ করছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চলতি বছরের জুন মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের কাছে অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের যুদ্ধাহত ভাতা স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভূঞাপুর উপজেলা শাখার কমান্ডার এম.এ.আব্দুল মজিদ মিঞা বলেন, আব্দুল লতিফ খান ও আব্দুল হামিদ দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ঠিক আছে কিন্তু যুদ্ধাহত নয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। সরকার আলাদাভাবে যুদ্ধাহত ভাতা ঘোষণার পর থেকেই অবৈধভাবে যুদ্ধাহত ভাতা পাওয়ার জন্য ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ২০% ভাতা উত্তোলণ করে গেছেন। আব্দুল লতিফ খান যুদ্ধের কয়েক বছর পর আম গাছ থেকে পড়ে আহত হন। অন্যদিকে আব্দুল হামিদ স্বাধীনতার ১৫ বছর পরে নারায়নগঞ্জের একটি রড কোম্পানীতে চাকুরী করার অবস্থায় তার শরীরে রড ঢুকে গিয়ে আহত হন। এছাড়া বাবর আলী খান একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন জনের সহায়তায় দেন দরবার করে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত হয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে ২০% ভাতাসহ সরকারের অনেক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট অবৈধভাবে ভাতা উত্তোলণ ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন বলেও জানান তিনি।