ডেস্ক রিপোর্ট : মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। অবমূল্যায়নের অভিযোগে তারা এই মিছিল-সমাবেশ করেন।
আজ রবিবার মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সকালে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঘোষণা মঞ্চ থেকে অন্যান্য বছর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারকে অভিবাদন মঞ্চে ডাকা হলেও এ বছর ডাকা হয়নি। এছাড়া কোরআন তেলওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ছাড়াই অভিবাদন মঞ্চে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র শাহাদৎ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম ও থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন উপস্থিত হন। কয়েকজন দর্শকের আপত্তির প্রেক্ষিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হলেও কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠ হয়নি বলে জানা গেছে। অভিবাদন মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে না ডাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বসার ব্যবস্থা না করায় সকাল ১০টায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। মিছিলটি সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। এতে স্থানীয় সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিশ্বাস দুর্লভ চন্দ্র ও সহকারি কমান্ডার (সাংগঠনিক) সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য দেন।
মির্জাপুরের ইউএনও ইসরাত সাদমীন বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। স্বাধীনতা দিবসটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করার জন্য পূর্বেই ফুল কিনে রেখেছি। তাদের সংবর্ধনা দেয়ার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কিন্তু কোন ভুলের কারণে তারা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন তা বুঝে উঠতে পারিনি। #দৈনিক জনকণ্ঠ