নিজস্ব প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে চিরনিদ্রায় সমাহিত হলেন বহুমাত্রিক লেখক, সাংবাদিক ও কবি সাযযাদ কাদির। গতকাল বাদজুমা দেলদুয়ারের মৌলভীপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতামাতার কবরের পাশে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।
এর আগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়রুল আলম শহীদ, সাধারণ গ্রন্থাগারের সহ-সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক। সেখানে স্থানীয় সরকারি বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কবির বন্ধু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। পরে পৈতৃক বাড়ি দেলদুয়ারে আরেক দফা জানাজা শেষে পিতামাতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইল করটিয়ার সা’দত কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন।
সাযযাদ কাদির একাধারে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। কবি সাযযাদ কাদিরের মৃত্যুতে জেলার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা মরহুমের রুহের শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছেন।