ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২, ২০২৩

Mountain View



মঠবাড়িয়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে এক গ্রাম পুরুষশূন্য

Print Friendly, PDF & Email

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা ও গোলবুনিয়া এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী লঞ্চঘাট ও উদয়তারা বুড়িরচর গ্রাম পুরুষশূন্য।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়ার তুষখালী লঞ্চঘাটে শ্রমিক লীগ অফিস ও দোকান ভাঙচুর চলাকালে হাবিব হত্যা মামলার আসামি পক্ষের সহযোগীরা মঠবাড়িয়া থানার ওসির ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রোববার বিকেলে ৬৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৮ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। মামলার পর গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হরিণপালা, গোলবুনিয়া, উদয়তারা বুড়িরচর গ্রাম ও তুষখালী লঞ্চঘাট এলাকায়।

ইতোমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তুষখালী লঞ্চঘাট ও বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রসীরা যাতে আবার কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করায় পুরুষরা গাঢাকা দিয়েছে। অনেক নিরীহ গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের হরিণপালা গ্রামের সুমন (৩৫), ইসাহাক বয়াতী (৩৩), নাজমুল হোসেন (২২), ইদ্রিস বয়াতী (২৮), রুবেল মিয়া (২৫), রুবেল আকন (২৬), জুবায়ের (২৮), মনির মাতুব্বর (৪০), ইসমাইল (২৩), নজরুল (৩৬), মনির হাওলাদার (২৮), চন্দন মিত্র (২৮) ও হরিণ পালার ডা. জামাল হোসেনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম মিলন (২৫) ও বুড়িরচর গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪০)। গ্রেফতারদের অধিকাংশের বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা ও গোলবুনিয়া গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের চাঞ্চল্যকর বিএনপি নেতা হাবিব তালুকদার হত্যা মামলার আসামি হিমু তালুকদারের মেয়ে ডা. তানিয়া ও জামাতা ব্যবসায়ী সলিম পঞ্চায়েতের সঙ্গে শনিবার স্থানীয় তুষখালী লঞ্চঘাট এলাকায় নিহত হাবিবের ছেলে প্রবাসী মানিকের বাগবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল লঞ্চঘাটে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ হরিণপালা গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে সুমনের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকলীগ অফিস ও নিহত হাবিবের স্বজনদের চারটি দোকান ভাঙচুর করে।

এ সময় থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষরা গ্রেফতার দুজনকে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম আহত হন।

গ্রেফতার আতঙ্কে ওই এলাকার পুরুষরা গাঢাকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, যাবে কোথায়? দেশে থাকলে ধরা তাদের পড়তেই হবে। সন্ত্রাসী যত বড়ই হোক তাদের ক্ষমা নেই।

ফেসবুক মন্তব্য