
নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল ষ্ট্রেশন মাষ্টার মোঃ জালাল উদ্দিন ও ষ্ট্রেশনে কর্মরত জিআরপি থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘‘হাসি’’ নামের এক যৌনকর্মীসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ শুধূ যৌনকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় মাতাব্বররা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ঘারিন্দা রেল ষ্ট্রেশন মাষ্টার জালালের কোয়াটারে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ষ্ট্রেশন মাষ্টারের নামে ষ্ট্রেশনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজী ও মোটা অংকের জামানত নেয়ার একাধিক বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ এসব কমকান্ডে জড়িত থাকায় এলাকাবাসী ক্রমশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, ঘারিন্দা রেল ষ্ট্রেশন মাষ্টার মোঃ জালাল উদ্দিন দীর্ঘ দিন যাবৎ ষ্ট্রেশনে আসা বিভিন্ন নারী যাত্রীদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করে আসছে। রাতে শহরের আদালত পাড়ার হাসি নামের এক যাত্রীকে ষ্ট্রেশনে তার আবাসিক কোয়াটারের কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় মাষ্টারের সাথে জিআরপি থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।
পরে স্থানীয় জনতা সেখান থেকে তাদের আটক করে মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুধু যাত্রী হাসিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়াও ষ্ট্রেশনের প্রতিটি দোকান থেকে ষ্ট্রেশন মাষ্টার জালাল জামানত হিসেবে ১০হাজারসহ প্রায় ৩০হাজার টাকার বাকী প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়েছেন। একই সাথে তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই গোপনে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যাপারে মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ষ্ট্রেশন মাষ্টার একজন (রেলওয়ের) সরকারী কর্মকর্তা তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন জিআরপি থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে ঘারিন্দা ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, ষ্ট্রেশন মাষ্টার জালালের বিরুদ্ধে নারী, মাদক ও ষ্ট্রেশনের দোকান থেকে মোটা অংকের জামানত এবং চাঁদাবাজীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।
তার কর্মকান্ডে ঘারিন্দাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। রাতে নারীসহ মাষ্টারকে আটক করার পর গ্রামবাসী তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে স্থানীয় মাতাব্বররা পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশকে খবর দেয়। পরিস্থিতি এখনো উপ্তত্ত। স্থানীয় মাতাব্বর ইসমাইল হোসেন জানান, গ্রামবাসী তাকে নারীসহ আটক করে। খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসী তাকে ঘেড়াও করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর গ্রামবাসী ক্রমশ মাষ্টারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। মাষ্টারের চাকুরী চ্যুতই গ্রামবাসীর একমাত্র দাবী।
এ ব্যাপারে ষ্ট্রেশন মাষ্টার জালাল উদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। ষ্ট্রেশন দোকান মালিকরা জানান, কেউ ষ্টেশনে দোকান করতে চাইলে মাষ্টারকে ১০হাজার টাকা জামানত এবং তার ইচ্ছে মতো দ্রব্য বাকী দিতে হবে। অন্যথায় তিনি দোকান দিতে দিবেন না। তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করলে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়।
ফেসবুক মন্তব্য