![]() |
ছবি : আব্দুল কাদের মোল্লা |
তিনি জানান, এরইমধ্যে লাল কাপড়ে বাঁধা এ মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পথে রওনা হয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার দুই মাস ১৮ দিনের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
আজ দুপুর ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়।
রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করার সুযোগ আছে কি না, এ নিয়ে সরকার ও আসামিপক্ষ দুই ধরনের মত দিয়েছে। সরকারপক্ষ বলছে, আইনে পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। দণ্ড কার্যকর সরকারের ওপর নির্ভর করছে। আর আসামিপক্ষ বলছে, রায় পুনর্বিবেচনা আসামির সাংবিধানিক অধিকার।
কাদের মোল্লাকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার (পার্ট-২) থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী সেদিন বলেছিলেন, রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে কাদের মোল্লাকে কনডেম সেলে (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষ) রাখা হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি আপিলের প্রথম রায়। ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।