মানব মানবীর সম্পর্ককে খুব কম ক্ষেত্রেই কোনো আইন-কানুন এবং রীতির মধ্যে ফেলা যায়। কারণ প্রতিটি প্রেমই তার নিজের মত করে মৌলিক। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই পক্ষই বেশ কিছু ‘কমন মিসটেক’ ঘটিয়ে থাকে, যা অনাকাঙ্খিত ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। আর এই ভুল বোঝাবুঝির থেকেই সূত্রপাত হয় বড় কোনো ফাটলের। সে কথা মাথায় রেখেই অত্যন্ত জটিল এই বিষয়ে কয়েকটি সহজ পরামর্শ দেয়ার এই আয়োজন সম্পূর্ণ রঙিনের। আর দূরহ এই কাজটি কাঁধে নিয়ে লেখাটি তৈরি করেছেন তায়েবা দৃষ্টি।
১০ টি পরামর্শ যা আপনাদের সম্পর্কের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে –
- সম্পর্কের ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখুন। এমন কিছু করবেন না যা আপনার সঙ্গীকে বলতে পারবেন না অথবা মিথ্যা বলতে হবে। বা সে ধরনের কোনো কাজে জড়ানোর আগে ভেবে নিন সঙ্গীকে এ কথা খুলে বলতে পারবেন কিনা। যিদ না পারেন, তবে তাতে না যাওয়াই ভালো।
- আপনার মতামত অন্যজনের উপর চাপিয়ে দিবেন না। তাকেও মতামত প্রকাশ করতে দিন। বাইরে খেতে গেলে যে সব সময় আপনার পছন্দের খাবারই খেতে হবে এমন কোন কথা নেই। অথবা আপনার পছন্দের পোশাকই পড়তে হবে তাও ঠিক না। সঙ্গীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকেও প্রাধান্য দিন।
- সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সে কি বলতে চায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। অর্ধেক শুনেই কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। আর এ ধরণের অভ্যাসের জন্যই অনেক সময় সমস্যার সূত্রপাত হয়!
- আপনাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকলে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সমস্যা মনে হলেই তা নিয়ে কথা বলুন।
- সঙ্গীর বিশ্বস্ততা যাচাই করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে । অনেক সময় দেখা যায় অচেনা নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে কথা বলে সঙ্গীর চারিত্রিক স্বচ্ছতা যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয় যা একদমই উচিত না। আর কোন ভাবে ধরা পড়ে গেলে তা আপনাদের সম্পর্ককে প্রশ্নের সম্মুখীন করে ফেলবে।
- সব সময় সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। অবশ্যই তাকে অন্য কার সাথে তুলনা করবেন না। সে ব্যতিক্রম বলেই তো আপনি তাকে ভালবাসেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেতন ইত্যাদি নিয়ে অযথা অভিযোগ করবেন না।
- সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। শুধু শুধু নেতিবাচক কথা বলে সম্পর্কে ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না। আমাদের ভবিষ্যৎ তো অন্ধকার, আমরা জীবনে সুখি হতে পারব না ইত্যাদি হতাশাজনক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
- সঙ্গীর সাথে কোন কিছু নিয়ে ‘ফালতু প্রতিযোগিতা’য় লিপ্ত হবেন না। এতে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়বে। কার বেতন বেশি ,কে কার চেয়ে বেশি দামি উপহার কিনেছেন তা নিয়ে আলোচনা করবেন না।
- প্রিয়জনের সাথে গুণগত সময় (কোয়ালিটি টাইম ) কাটান। ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সঙ্গীকে এড়িয়ে যাবেন না। এতে সম্পর্ক আর আগের মতো মিষ্টি নাও থাকতে পারে!
- বাইরে বেড়াতে গেলে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হলে তা নিয়ে সবার সামনে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করবেন না। পরবর্তীতে আপনাদের সম্পর্ক ভাল হলেও অন্যরা আপনাদের নিয়ে ঠিকই সমালোচনা করবে।
মান-অভিমান সব সম্পর্কেই থাকে। এতে সম্পর্কও ভাল থাকে। কিন্তু কোন কিছুই যেন বাড়াবাড়ি না হয়ে যায় সেদিকে অবশই খেয়াল রাখবেন!মনে রাখবেন, মধ্যমপন্থা সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
ফেসবুক মন্তব্য