ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২, ২০২৩

Mountain View



এই শীতে তেলের ব্যবহার

Print Friendly, PDF & Email

( লাইফ স্টাইল ডেস্ক )

শীতের আগমনের সাথে সাথে দেখা দিয়েছে চুল ও ত্বকের যত্ন নেয়ার প্রবণতা। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে তেলের ব্যবহারই অনেক বেশি সহজলভ্য এবং কার্যকারী। বিভিন্ন তেলের ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে আপনার চুলও ত্বক সজীব রাখতে পারেন তার কিছু ধারণা পাবেন এই আয়োজনে।

অনেক আগে থেকেই তেলের বহুল ব্যবহার ছিল। সচেতন মানুষের শরীরের সুস্থতায় এর চাহিদা ব্যাপক। প্রচলিত নারকেল তেল, সয়াবিন তেল, জলপাই তেল, সরিষার তেলের পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে সূর্যমুখীর তেল, তিলের তেল, নিম তেল, তিসির তেল, ভুট্টার তেল। এসব তেলের সঙ্গে আবার ফুল, লতাপাতার মূলের নির্যাস যোগ করে সুগন্ধিযুক্ত উপকারী তেলের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিক যুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ। ঠান্ডার সময় উষ্ণতাও দেয় এই তেল। ঠান্ডা, কফ, মাথাব্যথা এসব কমাতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ উপকারী।

তিলের তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূর  মিশিয়ে শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে  ত্বকে ম্যাসাজ করলে বাড়তি উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। এজন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তারা নির্দ্বিধায় জলপাই তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও এটি নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।

ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তারা নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুইদিন। দু-এক ফোঁটা নিম তেল খেতেও পারেন প্রতিদিন।

বাদাম তেল চেহারায় লাবণ্য ছড়ায়। মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে।

তিসির তেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজগুলো ধীরে ধীরে কমে যায়। তিসির তেল খেতেও পারেন। এতে মেধা বাড়ে। চোখের দৃষ্টির জন্যও ভালো।

ফেসবুক মন্তব্য