ডেস্ক রিপোর্ট
আধুনিক জীবনযাত্রায় মানুষের কাজের পরিধি যত বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপও। আর এই বাড়তি চাপের প্রভাব কম বেশি আমাদের ত্বক,চোখ,চুলের উপরও পড়ে থাকে।
কখন বুঝবেন যে আপনি স্ট্রেসড??
* কপালে বলিরেখা, মুখে গলায় অজস্র রেখা
* মুখ,হাত, গলার ত্বক কুঁচকে যাওয়া
* শীত ছাড়াও ত্বকে শুকনো ভাব
* ত্বকে অজস্র দাগ,ব্রণ
* চুল পড়া ও পাতলা হয়ে যাওয়া
এইতো শরীরের নানা লক্ষণ দেখে মানসিক চাপের প্রভান শনাক্তকরা। এবার দেখে নেয়া যাক এসব সমস্যার কয়েকটি সমাধান-
ত্বকের যত্নে-
১। মুখ সব সময় পরিস্কার রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে, বাইরে যাওয়ার আগে ও বাইরে থেকে এসে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ত্বকের উপযোগী ভাল ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। সকালে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না।
২।যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা বাইরে থেকে এসে বরফের টুকরা মুখে ঘষে নেবেন। ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে ।
৩। দিনে ১০-১২ গ্লাস পানি খাবেন। এতে ত্বক ভাল থাকবে।
৪। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাবেন।
৫। যত কাজই থাকুক না কেন দিনের কিছুটা সময় রাখুন একান্তই নিজের জন্য। এ সময়টা তে গান শুনুন,বই পড়ুন, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান।
চোখের যত্নে-
১। ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখুন।
২। যারা কম্পিউটারে একটানা কাজ করেন তারা প্রতি ১০-১৫ মিনিট পর পর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে ফোকাস করে চোখকে বিশ্রাম দিন।
৩। সারাদিনের ক্লান্তির পরে তুলোর বল শসার রসে ডুবিয়ে ১০ মিনিট চোখের পাতার উপর রাখুন। শসা পাতলা করে কেটেও চোখের উপর রাখতে পারেন।
৪। চোখের নিচে কালি পড়লে প্রতি রাতে শোবার আগে বাদামের তেল চোখের নিচে মাসাজ করুন।
চুলের যত্নে-
১। আমলকি, মেথি, মেহেদি চুলকে মজবুত করে। পানি বা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
২। খুশকির সমস্যা থাকলে লেবু ও পেয়াজের রস ব্যবহার করুন।
৩। শ্যাম্পুর পরে প্রোটিনযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৪। সপ্তাহে ২-৩ দিন তেল ব্যবহার করুন। বেশি ভাল ফল পেতে চাইলে তেল দেয়ার পরে গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে ভাল ভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এতে তেল চুলের ত্বকে পৌঁছাবে।
৫। মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন।
সবশেষে বোনাস কিছু টিপস হিসেবে বলা যায়, মানসিক চাপের প্রভাব এড়াতে স্বাস্থ্য সম্মত একটি আহার তালিকা মেনে চলুন। প্রচুর পানি ও শাক সবজি খান। হাসিখুশি থাকুন ও মন প্রফুল্ল রাখুন। চাপকে আপনিই চাপে ফেলতে পারবেন!