আমানত হোসাইন মাসুম, সখীপুর সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী সখীপুর-বাসাইলবাসীর প্রধান মরণফাঁদ আটিয়া বন অধ্যাদেশ-৮২ সম্পর্কে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন- তার দলের প্রধান বর্তমান সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন- সন্ত্রাস দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই হবে আমার প্রথম কাজ। জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন- স্বাধীনতার পর এ আসনে অনেক জনপ্রতিনিধি আপনারা নির্বাচিত করেছেন।
তিনি নিজেকে অধিকতর যোগ্য নেতা দাবি করে বলেন- অতীতে যারা এ আসনে নির্বাচিত হয়েছে তারা এলাকার উন্নয়নে সঠিক ভূমিকা পালন করে নাই। তারা নিজেদের উন্নয়ন ছাড়া কিছুই যে করেন নাই তা সখীপুর-বাসাইলের সার্বিক চিত্রই প্রমাণ করে। এ এলাকায় একটি শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠে নাই। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই, বেকারত্ব দূর হবে কীভাবে। এলাকাবাসী নানামুখী সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত রয়েছে।
জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনাদের কাছে শুনতেছি এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রের জন্য এটি শুভ হবে না। প্রয়োজনে তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের আহ্বায়ন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে। আমি মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। আর আপনারাই পারেন আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করতে। জেপি নেতা সাদেক সিদ্দিকী সোমবার টাঙ্গাইল-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে সখীপুরের কুতুবপুর, বড়চওনা, কালিয়া, কচুয়া, গজারিয়া, শালগ্রামপুর, ইছাদিঘীসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
তিনি দলীয় প্রতীক বাইসাইকেলে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। এসময় জেপির জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মী আইয়ুব আলী পাঠান, আতোয়ার রহমান, সানোয়ার রায়হান, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, ইকবাল হোসেন, আহমেদ হোসেন খান, শরিফুল ইসলাম, ঝান্ডা চাকলাদার, এমএ আওয়াল, আবুল আল-আসাদ, এমএ রহিম বিএসসি, আখি মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি সোমবার সন্ধ্যায় সখীপুর প্রেসক্লাবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।