রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ০৫ বছরের শিশু পুত্র ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাগরপুর উপজেলার নাগরপুর ইউনিয়নের কাশদাহ গ্রামে। ওই গ্রামের আবুবকর সিদ্দিক ও শাহনাজ পারভীনের একমাত্র শিশুপুত্র ০৫ বছর বয়সের শাহাদত হোসেন ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশী আঃ লতিফের ছেলে শাহআলমের (১৮) বিরুদ্ধে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১ টার পর থেকে প্রায় দুইঘন্টা যাবত শিশুটিকে কাছে না পেয়ে তার মা ও দাদী এদিক সেদিক খোজাখুজি করতে থাকে। এরই মধ্যে অপকর্মেও নায়ক শাহআলম শিশু বাচ্চাটিকে কোলে করে এনে তার দাদীর কাছে দিয়ে যায়। বাচ্চাটি ব্যাথা ব্যাথা বলে কাদতে থাকায় তার মা ও দাদী অস্থির হয়ে ওঠে। কোথায় ব্যাথা বারবার জানতে চাওয়ার পর কান্নাজড়িত কন্ঠে শিশুটি বলে শাহআলম (ধর্ষক) ভাইয়া জোর করে আমার প্যান্ট খুলে বলে, তোর পাছায় একটা গোটা আছে, আয় গালাই দেই। তারপর আমারে অনেক মারছে। আমাকে অনেক ব্যাথা দিছে।
অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় ১৯ এপ্রিল রবিবার ঘটনার দিনই শিশুটির মা ও শিশুটির আত্মীয়রা তাকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ডাক্তারের পরামর্শে ১ দিন পর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ এপ্রিল সোমবার টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের ০৩ তলার ০৭ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে মুমুর্ষ শিশুটি। এই বিষয়ে কথা হয় শিশু শাহাদত এর মায়ের সাথে।
তিনি জানায় তার স্বামী পাকুল্লা একটা মসজিদে ঈমামতি করেন। কান্না জড়িতকন্ঠে ঘটনার বিবরন দিয়ে বলেন, তাদের সুখের সংসারে একমাত্র আদরের শিশু সন্তানের আজ এই করুণ পরিনতির জন্য যে দায়ী তার কঠিন বিচার চাই। যাতে কেউ কোনদিন এইধরনের অপকর্ম করতে না পারে।
এই বিষয়ে কথা হয় ওই এলাকার অর্থাৎ নাগরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, যে এই অপরাধ করেছে তাকে বিচার করার জন্য বেঁধে রেখেছিলাম। কিন্তু বিচার করতে বিলম্ব হচ্ছে তাই দড়ির বাধন খুলে আমার জিম্মায় রেখেছি। শিশু বাচ্চাটি সুস্থ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এলাকার চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বরদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিব।
নির্যাতিত শিশুটির পরিবারের কাছে মামলা করা হবে কিনা ? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলেটির মা জানান, আমরা গরীব মানুষ। এমনিতেই ভয় পাই। চারদিক থেকে নানান চাপ আসতাছে। মেম্বার সাব কইছে মামলার ঝামেলায় যাওন যাবো না। যেটা ভাল হয় আমরা কইরা দিমু।
ওপরদিকে গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী ও ধর্ষিত শিশুটির ফুফা সোনা মিয়া বলেন, আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে করে এই ধরনের অপকর্ম আর কেউ কোনদিন করার সাহস না পায়।