ঢাকা বুধবার, জুন ৭, ২০২৩

Mountain View



মির্জাপুরে আওয়ামীলীগ নেতা শফির হত্যাকারীরা জামিনে এসেই বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি

Print Friendly, PDF & Email

শাহ্ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সিবিএর সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফির হত্যাকারীরা জামিনে বের হয়েই মামলার বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

mirzapur

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শফির পিতার নাম কাজী মোকছেদ আলী, বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার কুরনি গ্রামে। সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত শফির স্ত্রী আলেয়া বেগম, পুত্র সম্রাট ও কন্যা স্বর্না আজ শুক্রবার মির্জাপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

মির্জাপুর থানায় দায়ের করা মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল রাতে কুরনি গ্রামের জিন্না মিয়ার কন্যা বীণা (৩৫), পুত্র মাসুদ (৩২), মামুন(৩০), রমজান মিয়ার ছেলে আনোয়ার ওরফে আনু (৩০), বহুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে বাবলু (৪০), কুরনি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুমন (২৬), আরিফ (৪০) সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী মিলে শফিকে অপহরণ করে নির্মম ভাবে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে। হত্যার পর শফির স্ত্রী আলেয়া বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করে। মামলা নং২৭/১২৬, তাং-২১/০৪/২০১৪ইং। মামলার পর মির্জাপুর থানা পুলিশ আসামী বীণা, মাসুদ ও মামুনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। মামলার প্রকৃত তদন্ত নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় পরে মামলাটি ডিবির কাছে হন্তান্তর করা হয় বলে বাদীর পরিবার জানায়।

গত এক বছরেও মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ন্যায় বিচারের আশায় দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছে অসহায় পরিবারটি।

এদিকে বাদীর পরিবার অভিযোগ করেছে এলাকার একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসেছে। জামিনে এসেই আসামী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিহত শফির বিধবা স্ত্রী ও পুত্র কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। ফলে নিরীহ পরিবারটি ঐ সন্ত্রাসী চক্রের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন।

এ দিকে শফির হত্যার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শফির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে পর পর কয়েকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। অবরোধ করেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। তারপরও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি নিয়ে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ নানা টালবাহনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী ডিবির কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডিবি অফিসের এক কর্মকর্তা বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে।

ফেসবুক মন্তব্য