শাহ্ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ বখাটে এক যুবকের হাতে প্রবাসির ৮ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশংকা জনক অবস্থায় ঐ শিশু কন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পাপন পলাতক রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের যুগিরকোপা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ অমানবিক ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা তিন দিন অতিবাহিত হলেও এলাকার প্রভাবশালীদের চাপের মুখে কোন মামলা করতে সাহস পায়নি অসহায় ঐ পরিবারটি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি চক্র নানা ভাবে ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। গত তিন দিনেও এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে গতকাল রবিবার সকালে ধর্ষিতা শিশু কন্যার দাদা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল রবিবার ধর্ষিতা শিশু কন্যার মা ও দাদা জানান, ঐ শিশু কন্যাটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্রী। তার পিতা প্রবাসে থাকেন। মেয়েকে নিয়ে তার মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। ঘটনার দিন একই গ্রামে নানার বাড়িতে থাকা আব্দুর রউফ মিয়ার বখাটে ও লম্পট যুবক পাপন নানা কৌশলে ধরে নিয়ে ঐ শিশু কন্যাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষনে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় শিশু কন্যাটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার ঘটনা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার তাকে টাঙ্গাইল সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে ওয়ার্ড নং-৩ বেড নং-১ এ চিকিৎসাধীন রয়েছে ঐ শিশুটি। শিশুটির প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে বলে চিকিৎসকগন জানিয়েছেন।
অপর দিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বখাটে পাপনের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগেও করেছে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে। একই ধরনের ঘটনা আবার করায় এলাকাবাসি পাপনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে। তারা পলাতক ধর্ষক পাপনকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এ ছাড়া শাস্তির দাবী জানিয়েছে ধর্ষিতা শিশু কন্যার সহপাটী, এলাকাবাসি ও অসহায় পরিবারটি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমূল হক ভুইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।