শাহ্ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চালকেরা যানবাহন চালাচ্ছেন। তাছাড়া দ্রুত সড়ক সংস্কার করা না হলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের জন্য সৃষ্টি হতেপারে ভয়াবহ যানজট।
যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা জানান, গত এক ৮দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় ছোট বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় মহাসড়কে চলাচলকারী ভারী যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের ক্যাডেট কলেজ, সোহাগপুর, ধেরুয়া রেল ক্রেসিং, দেওহাটা, মির্জাপুর বাইপাস, পোস্টকামুরী, শুভুল্যা, কদিম ধল্যা ও পাকুল্যা এলাকায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুর বাইপাস স্টেশন, দেওহাটা, ধেরুয়া রেল ক্রসিং এলাকার গর্তের পরিমাণ অনেক বেশি। ওইসব স্থানে ঝুঁকি নিয়ে চালকেরা যানবাহন চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের বাসচালক মো. সুজন মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তার যে অবস্থা হয়েছে তাতে তাঁদেরকে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের যেকোন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকাগামী বাসযাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় সৃষ্ট গর্তের কারনে দুই ঘন্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে ছয় ঘন্টা। এতে অসুস্থ রোগীদের খুবই কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন টাঙ্গাইল বার্তাকে বলেন, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা বৃষ্টির কারণে দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গর্ত ভরাট করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। বৃষ্টি থামলে পুরোপুরি মেরামত কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম আহমেদ টাঙ্গাইল বার্তাকে জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে খানাখন্দের যাচাই বাছাই শেষে রাস্তার প্রতিবেদন সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া শেষে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।