সখিপুরে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি আ.লীগ দোসর মুক্ত হয়নি: অনিয়ম- দুর্নীতির আখড়া
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (মাধ্যমিক) টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা শাখা দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হলেও আওয়ামী দোসর মুক্ত হয়নি। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় নির্বাচিত কমিটি বাতিল না করে তৎকালীন আওয়ামী এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, আমানুর রহমান রানা ও সানোয়ার হোসেনের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি ও সম্পাদককে ম্যানেজ করে সখিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাইয়ুম হোসাইনকে সভাপতি এবং কালিদাস কলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. ইব্রাহিম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অদ্যাবধি এই কমিটি বহাল রয়েছে।
ইব্রাহিম ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়ের নেতৃত্বে মিছিলে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব দেয়। প্রতি বছর উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট, গাইড, গ্রামার, ব্যাকরণ পাঠ্য করে প্রকাশনীর নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সখিপুর ডাকবাংলোয় সমিতির সাধারণ সভায় প্রকাশনীর নিকট থেকে ২৫ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করে ইব্রাহিম। পরবর্তীতে তিনি চেক হারানোর নাটক সাজান কিন্তু এ বিষয়ে থানায় কোনো জিডি বা সমিতির সভায় কোনো রেজুলেশন করেননি। কয়েকজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইব্রাহিম মিয়া দুর্নীতিবাজ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকাশনীর নিকট চেক ফেরত দিয়ে নগদ টাকা গ্রহণ করেছেন। যা টাঙ্গাইলের আদর্শ লাইব্রেরির বাবুল জানেন।
এ বছর সমিতির মাধ্যমে এডভান্স প্রকাশনীর নোট, গাইড, গ্রামার ও ব্যাকরণ ৬০ লাখ টাকার চুক্তিতে পাঠ্য করা হয়েছে। অথচ সমিতিতে হিসাব দেখানো হয়েছে মাত্র ৩২ লাখ টাকা। বাকী টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সখিপুর উপজেলায় ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার। অন্যান্য প্রকাশনীর বই পাঠ্য করার জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি ৬ শত টাকা দিতে চেয়েছিল কাইয়ুম-ইব্রাহিম। কিন্তু সমিতির নয়, ব্যক্তি স্বার্থের জন্যই এডভান্স প্রকাশনীর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (মাধ্যমিক) সখিপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণীতে এডভান্স প্রকাশনীর নোট, গাইড, গ্রামার ও ব্যাকরণ পাঠ্য করার সময় উপজেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে।






আপনার মতামত লিখুন
Array