দেলদুয়ারের আটিয়া ইউনিয়নে চলছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিক্রি কার্যক্রম
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের দু’টি বিক্রয় কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত নিয়মে ও সঠিক পরিমাণে হত-দরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
রবিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের নান্দুরিয়া চক বাজার ও বারো আটিয়া বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে, রবিবার সকালে নান্দুরিয়া চক বাজার বিক্রয় কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, চাল নিতে আসা মহিলাদের দীর্ঘ লাইন। আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একজন মহিলা গ্রাম পুলিশকে নিয়োজিত করা হয়েছে এই বিক্রয় কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাত হোসেন আজাদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উপকারভোগীদের ক্রেতাদের তদারকি করছেন।
আরও পড়ুন
যারা পিআরের কথা বলে, তারা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়: আহমেদ আযম
এই কেন্দ্রে মোট ৪৮২ জন নিবন্ধিত উপকারভোগী রয়েছে। তাঁদের জন প্রতি ১৫ টাকা কেজি হারে ৩০ কেজি চালের মূল্য রাখা হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এখানে জন প্রতি ৩০ কেজি চালের বস্তা দেওয়া হচ্ছে। ফলে চাল কম দেওয়ার কোনো রকম সুযোগ এখানে নেই।
কথা হয় চাল নিতে আসা মোছাঃ আসিয়া খাতুন, মোছাঃ ফাহিমা বেগম, রুবিনা আক্তারের সাথে। তাঁরা জানান, চাল বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। ১৫ টাকা দরে তাঁরা ৩০ কেজির চালের বস্তা নিয়েছেন ৪৫০ টাকা দিয়ে।
তবে তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে তার পর চাল নিতে হচ্ছে। এই বিতরণ প্রক্রিয়াটা আরও সহজ করার দাবি জানান।
বিক্রয় কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ হাসনা বেগম জানান, বিক্রয় কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম কিম্বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে চাল নিচ্ছে।
সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নান্দুরিয়া চক বাজারের ডিলার মেসার্স কথা টেডার্সের মালিক মোঃ লাল মিয়া জানান, গত মাসে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১৫ তারিখে চাল বিতরণ করা হবে বলে মাইকিং করা হয়। অথচ আমি খাদ্য গুদাম থেকে চাল পেয়েছি ১৯ তারিখ। আর বিতরণ শুরু করেছি ২১ আগস্ট থেকে। আমার বিরুদ্ধে শহর বানু সহ আরো দুই জন চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ করেছে আগস্টের ২১ তারিখে অথচ আমার মাস্টার রোলের তথ্য অনুযায়ী তাঁরা চাল উত্তোলন করেছেন আগস্টের ২৩ তারিখে। তাহলে তাঁরা উত্তোলনের দুই দিন আগেই কিভাবে অভিযোগ করেন আমি তাদের পরিমাণে কম দিয়েছি?
তিনি আরও জানান, আমার এলাকার আরও কয়েকজন সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার শিপের জন্য আবেদন করেছিল। তাঁরা ডিলারশিপ পেতে ব্যর্থ হয়ে এই ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে।
এই বিক্রয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসা আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাত হোসেন আজাদ মাইকিং এর ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে জানান, আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এই কেন্দ্রে একজন মহিলা গ্রাম পুলিশকে নিয়োজিত করা হয়েছে। আটিয়া ইউনিয়নের দু’টি বিক্রয় কেন্দ্রে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সরকারের তরফ থেকেও একজন ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কার্যালয়ের আমিনুল ইসলাম চাল বিতরণ সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল হাসান জানান, সরকার নির্ধারিত দামে ও নিয়ম অনুযায়ী আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া চক বাজার ও বারো আটিয়া বিক্রয় কেন্দ্র থেকে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। আমি যতটুকু জানি, এই দু’টি বিক্রয় কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।




আপনার মতামত লিখুন
Array