খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে বন ঘিরে ৩০৭ অবৈধ করাতকল

প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ , ৬:২৩ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইলে বন ঘিরে ৩০৭ অবৈধ করাতকল
 

টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও সখীপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বনভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০০ করাতকল। এর মধ্যে ৩ শতাধিক করাতকলই অবৈধ। এ সব করাতকলে প্রতিদিন বনের কাঠ চেরাই করা হচ্ছে। পরে সেগুলো পাচার করা হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে কমছে বনের গাছ, কিছু কিছু এলাকায় গাছ কমে গিয়ে কৃষি ফসলের খেতে পরিণত হয়েছে বনভূমি।

বন বিভাগের হিসাবমতে, জেলায় ৪৭০টি করাতকল রয়েছে। এর মধ্যে ৩০৭টিই অবৈধ। জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ অনুমোদনহীন করাতকল মালিকদের জরিমানা করলেও থেমে নেই অবৈধ করাতকলে কাঠ চেরাইয়ের কাজ।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ৫টি উপজেলায় বনভূমির পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৬ একর। এসব বনাঞ্চল ঘিরেই গড়ে উঠেছে ৪৭০টি করাতকল। যার মধ্যে অবৈধ ৩০৭টি। ওই করাতকলগুলোতে প্রতিদিন অবৈধভাবে বনের কাঠ চেরাই করে ট্রাকে ভরে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচারের ফলে মধুপুর বনাঞ্চলসহ আশপাশের বনাঞ্চল অনেকটাই বৃক্ষশূন্য হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, জেলার মধুপুরে সাড়ে ৪৫ হাজার একর বনাঞ্চলের মধ্যে ৩৫ হাজার একর বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে। আনারস, কলা, ড্রাগনসহ নানা কৃষি ফসলের খেতে পরিণত হয়েছে বনভূমি। বাকি ১০ হাজার একরও ক্ষয়িষ্ণু। ঘাটাইল, সখীপুর বনাঞ্চলেও বনের ভেতরে গড়ে উঠেছে করাতকল। প্রতিদিন ওই করাতকলে বনজসম্পদ চেরাই ও পাচার হচ্ছে।

বন বিভাগের হিসাবমতে, মধুপুর উপজেলায় ৯০টি করাতকলের মধ্যে ৭৩টিরই লাইসেন্স নেই। সখীপুর বনাঞ্চলে অবৈধ ৪২টি করাতকল। এর মধ্যে বহেড়াতৈল রেঞ্জে ২৮, হাতিয়ায় ৭ ও বাঁশতৈল রেঞ্জে ৭টি। অন্যদিকে ঘাটাইলে ৭৭টি করাতকলের মধ্যে নিবন্ধন নেই ৫৯টির। পৌরসভা ও এর আশপাশের এলাকায় মাত্র ১৮টি করাতকল ছাড়া বাকিগুলো বনাঞ্চলের আশপাশে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের অসাধু ব্যক্তিরা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে করাতকলমালিকদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেন। করাতকলগুলোতে বনাঞ্চলের কাঠ চেরাই করে প্রতিদিনই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা।

অবৈধ করাতকলসংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ট্রাকভর্তি চেরাই বা গোলাই কাঠ পাঠাতে আগের দিন রেকি করে নেন পাচারকারিরা। যে গন্তব্যে কাঠ যাবে, সেই গন্তব্যে যাওয়ার পথে দায়িত্বরত পুলিশ বা বনের টহল প্রদানকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের চাহিদামতো টাকা দিয়ে আসা হয়। তাঁরা টাকা গ্রহণের সময় একটি সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে দেন। পরদিন কাঠবোঝাই ট্রাক যাওয়ার সময় টহল পুলিশকে ওই সংকেত জানালেই ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যথা হলেই ট্রাক আটক করা হয়।

অবৈধ করাতকলমালিকদের দাবি, তাঁরা কয়েকবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন দিয়েও বন বিভাগসহ ও সংশ্লিষ্টদের সাড়া পাচ্ছেন না।

মধুপুর পৌর শহরের স মিলমালিক আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই স মিলের ব্যবসা করতে চাই। আমরা নিয়ম অনুসারে আবেদন করেছি। আবেদনের সঙ্গে পরিবেশের ছাড়পত্র, ভূমির প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হয়। কিন্তু বারবার ঘুরেও ওই ছাড়পত্র পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়েই আমরা লাইসেন্সের আবেদন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লাইসেন্স দিলে সরকারও রাজস্ব পাবে। আমরাও নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারব।’

এ বিষয়ে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, করাতকল বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী, সংরক্ষিত, রক্ষিত ও সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটারের (কিমি) মধ্যে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ। এই বিধি লঙ্ঘন করলে জেল-জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু টাঙ্গাইলের বেশির ভাগ করাতকলই অবৈধ। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করে মালপত্র জব্দ না করলে বনাঞ্চল সম্পূর্ণ বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে। পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আঞ্জুম পিয়া বলেন, মধুপুরে অবৈধ করাতকলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি পৌর এলাকার চারটি অবৈধ করাতকলমালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, করাতকল স্থাপনের নির্দিষ্ট বিধিমালা রয়েছে। করাতকল অনুমোদনের জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র, ভূমির প্রত্যয়নপত্রসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যুক্ত করে আবেদন করতে হয়। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ওই করাতকল অবশ্যই বনাঞ্চলের সীমানার ১০ কিলোমিটার দূরে হতে হবে। অবৈধভাবে স্থাপিত করাতকল উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি করাতকল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে