সুদের টাকা না পেয়ে ঘর ভেঙে নিয়ে গেলেন ইমাম!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫
সুদের টাকা না পেয়ে ঘর ভেঙে নিয়ে গেলেন ইমাম!

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সুদের টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম তার লোকজন নিয়ে এক কৃষকের ঘরসহ মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার জামিরাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা হয়। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার জামিরাকান্দা গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়ার স্ত্রী রিতা বেগম প্রতিমাসে ১০ শতাংশ সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির আমানুল্লাহ মুন্সির কাছ থেকে। আমানুল্লাহ মুন্সি পাঁচগাও বাজারে একটি জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম। ঋণ গ্রহীতা নিয়মিত সুদের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে আসল টাকার মধ্যে ৫০ হাজার পরিশোধ করেন। এরপরেও আরও ৮০ হাজার টাকা দাবি ওই দাদন ব্যবসায়ীর। দাবিকৃত ৮০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য রিতা টাকা জোগাড় করতে ঢাকায় স্বামী–সন্তানের কাছে চলে যান। সুযোগ বুঝে দাদন ব্যবসায়ী ইমাম আমানুল্লাহ মুন্সি পাশের বাড়ির সোহেলসহ অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার রিতার দুটি ঘর ও ঘরের সকল জিনিসপত্র নিয়ে যান।

এসময় ঘরের আসবাব, কাঠ, টিন, খুটি, নলকূপ, গোসলখানা, গাছপালাসহ ঘরের মেঝের ইট পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যান ওই দাদন ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে রিতা ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নয়জনের নামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– আমান উল্লাহ মুন্সির স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪২), সোহেল রানার স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৬), বাবু মিয়া (২১) ও নয়ন মিয়া (১৯)।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল রানা বলেন, ‘অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।’

সংবাদটি বায়ান্ননিউজ.কমওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যের সঠিকতা ও মালিকানা বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে মূল সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।