খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

বিএনপি নাকি জামায়াত- কোন দিকে যাবে এনসিপি?

সৌজন্যেঃ.. দৈনিক যুগান্তর
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ , ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি নাকি জামায়াত- কোন দিকে যাবে এনসিপি?
 

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও এরই মধ্যে জোটকেন্দ্রিক ভোট নিয়ে নানা আলোচনা চলছে দেশের রাজনীতিতে।

বিশেষ করে গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সঙ্গে বিএনপি অথবা জামায়াতের নির্বাচনী জোট বা কোনও আসন সমঝোতা হয় কিনা, এ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।

এ নিয়ে দলদুটির সঙ্গে এনসিপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নাকি জামায়াত- কোন দলের সঙ্গে যাবে এনসিপি, সেই আলোচনাও চলছে দলের মধ্যে।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত দুইটি জোটের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছে দলটি।

দলের মধ্যে একটি পক্ষের মত হচ্ছে, জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি জোট না করে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়া। অপর আরেকটি পক্ষের আগ্রহ রয়েছে বিএনপির সঙ্গে একই কায়দায় নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি বা জোটের যাওয়ার।

এ নিয়ে দুইটি দলের সঙ্গেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে। তবে দলটির কোনও কোনও নেতার মত হচ্ছে- বিএনপি বা জামায়াত কোনও জোটে না গিয়ে একক কিংবা এনসিপির নেতৃত্বে আলাদা জোট করে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

এনসিপির একটি সূত্র বলছে, যদি শেষ পর্যন্ত পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ গঠনের ব্যাপারে ঐকমত্য তৈরি হয় তাহলে কোনও জোট ছাড়াই এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এনসিপি।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আমরা কারো সঙ্গে জোটে যাচ্ছি নাকি বা এককভাবে নির্বাচন করবো সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো হয়নি। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করছি।

এনসিপি গঠনের পর থেকেই এনসিপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর এক ধরনের সখ্যতা দেখা গিয়েছিল। এর বিপরীতে বিএনপির সঙ্গে এক ধরনের বৈরী সম্পর্কও দেখা গেছে।

কিন্তু সম্প্রতি জুলাই সনদ স্বাক্ষর ঘিরে জামায়াতের সঙ্গে এক ধরনের টানাপোড়েনও তৈরি হয়েছে এনসিপির। যা স্পষ্ট হয়ে গত রোববার এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি যদি তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চায় তাহলে দলটির উচিত এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এখন এনসিপি যদি রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড়াতে চায় তাদের কৌশল হওয়া উচিত এককভাবে নির্বাচন করা। তবে চাইলে তারা দুয়েক জায়গায় আসন সমঝোতাও করতে পারে।

বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবে এনসিপি?

রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদ কিংবা রাজনৈতিক নানা ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরেই বিএনপির সঙ্গে এনসিপির এক ধরনের টানাপোড়েন দেখা গেছে রাজনীতির মাঠে।

এ নিয়ে প্রকাশ্যে সভা সমাবেশে এনসিপি নেতাদেরও অনেককে বিএনপির সমালোচনাও করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদেরও অনেককে এনসিপির সমালোচনা করতে দেখা গেছে নানা ইস্যুতে।

বিশেষ করে সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি ও এনসিপির মতপার্থক্য দল দুটির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরো বাড়তে থাকে।

বিএনপি নেতাদের অনেককে অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যও করতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়। আবার দেশের কোথাও কোথাও এনসিপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলা কিংবা বাধা দেওয়ারও অভিযোগও উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ, সংস্কারের বেশ কিছু ইস্যুতে বেশ মত পার্থক্য দেখা গেছে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে।

একদিকে এই দুটি দলের মধ্যে যখন সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে তখন পর্দার আড়ালে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা কিংবা জোট গঠনের আলোচনার কথাও বলেছে দলটির নেতাদের কেউ কেউ।

তবে এনসিপির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে এনসিপির মধ্যে দুই ধরনের অবস্থান আছে নেতাদের মধ্যে।

দলের যে পক্ষটি বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের পক্ষে তাদের মত হচ্ছে, নির্বাচনে যদি বেশি সংখ্যক আসন ছাড় দেওয়া হয় তাহলে বিএনপির জোটে যেতে আগ্রহী তারা। সেক্ষেত্রে এনসিপির প্রত্যাশা অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি আসনে বিএনপি ছাড় দেয়, তাহলে তারা বিএনপি জোটে কিংবা বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় যেতে রাজি।

আর অন্য পক্ষটির বক্তব্য হচ্ছে, নির্বাচনে বিএনপি আসন ছাড় দিলেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোও কোনও আসনে বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে পারে। যেটি এনসিপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বিবিসি বাংলাকে বলেন, আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোন বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেই নি।

তবে শেষ পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গে জোট বা সমঝোতার সুযোগ আছে সেটি বলছেন বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ। এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগও হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই। নির্বাচনের আগে মাঠের পরিস্থিতি দেখেই তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জামায়াত নিয়ে যে আলোচনা

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে জামায়াতসহ ছয়টি দল পাঁচটি অভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামে। তখন সেই আন্দোলনে এনসিপিরও থাকার কথা ছিল।

তবে দাবি নিয়ে মতবিরোধ তৈরির পর বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মত পার্থক্য তৈরি হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জামায়াতের যোগ দেওয়া কিংবা বাস্তবায়ন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নিয়ে জামায়াত ও এনসিপির টানাপোড়েনও তৈরি হয়।

সর্বশেষ পিআর বা আনুপাতিক নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রতারণা বলে মন্তব্য করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট দেন। তার পাল্টা জবাবও দিতে দেখা যায় জামায়াত নেতাদের।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা কিংবা জোট গঠনের সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়েও নানা আলোচনা চলছে।

এনসিপির একটি পক্ষের অবস্থান, নির্বাচনের মাঠে জামায়াতের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা হলে সেক্ষেত্রে বেশি আসন ছাড় দিতে পারে জামায়াত। অন্যদিকে জামায়াতের ক্ষেত্রে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটে অংশ নেবে না বলেও মনে করে একটি পক্ষ।

যে কারণে দলটির কোনও কোনও নেতা বিএনপির চাইতে জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আগ্রহী।

আর অন্য পক্ষটির মতামত হচ্ছে- শেষ পর্যন্ত যদি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে নির্বাচনে অংশ নেয় এনসিপি, তাহলে বিরোধী দলে অবস্থান হতে পারে দলটির। অন্যদিকে, জামায়াতের রাজনীতির ট্যাগও দলটিকে পিছিয়ে দিতে পারে।

সেই দিক বিবেচনা করে ওই পক্ষটি জামায়াতের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়ে কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে রয়েছে।

বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাদের একজন জামায়াতের সঙ্গে জোট বা সমঝোতায় না যাওয়ার পক্ষেও তার অবস্থানের কথা এনসিপিকে জানিয়েছে বলে এনসিপির একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন।

তবে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, জামায়াতসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তই হয়নি কার সঙ্গে এলায়েন্স হবে। কার সঙ্গে যাবো সেই সিদ্ধান্ত হলেই তারপর না হয় আসন নিয়ে দরকষাকষি হলেও হতে পারে।

এদিকে সাম্প্রতিক টানাপোড়েন থাকলেও সংস্কার ইস্যুতে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে বেশ কিছু ইস্যুতে মতৈক্য রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেটি নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমার ধারণা আরেকটু সময় গেলে স্পষ্ট হবে কে কোন জোটে বা কার সঙ্গে সমঝোতায় যাবে। এনসিপির সঙ্গে সমঝোতা বা জোট গঠনের সুযোগ তো আছেই। আমরা আলোচনা করছি আমাদের মধ্যে মতবিনিময়ও হচ্ছে।

এনসিপির চিন্তায় ‘মধ্যপন্থী জোট’

জুলাই সনদের অনেকগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও পিআর বা আনুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষ গঠনের বিষয়ে এখনো মতভিন্নতা রয়েছে।

এক্ষেত্রে এনসিপি পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চ কক্ষ গঠনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

দলটির নেতারা মনে করছেন, যদি শিগগির উচ্চকক্ষে পিআর বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয় এবং আগামী নির্বাচনে যদি সেটি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে দলের একটি অংশ বিএনপি বা জামায়াত কোনও জোটে না যাওয়ার পক্ষে।

দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানিয়েছেন, আনুপাতিক ভোটের হারে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন হলে তখন এনসিপি এককভাবে কিংবা বিএনপি জামায়াত বলয়ের বাইরে আলাদা জোট গঠনের চেষ্টা চালাবে সমমনা কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে।

ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে তিনি বলেছেন, আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত হলে তখন এনসিপি আলাদা মধ্যপন্থার জোট করে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করবে।

সেক্ষেত্রে, বিএনপি কিংবা জামায়াতের বিদ্রোহী অংশকেও এনসিপি থেকে মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তায় আছে দলটি।

এর আগে নুরুল হকের গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এনসিপির একীভূতকরণের বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ বাস্তবের মুখ দেখেনি।

এনসিপি নেতা সারজিস আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এমনও হতে পারে আমরা এককভাবে বা স্বতন্ত্র জোট করে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারি। এমনও অনেকে আছে যারা এনসিপির রাজনীতি এখনো করছেন না, তবে ভোটের মাধ্যমে তাদের কেউ এনসিপিতে এনসিপিতে আসতে চায়। সেই বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে।

এই প্রশ্নে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের মাঠে এনসিপি নতুন দল। অনেক জোট তাদেরকে জোটে নিতে চাইতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কেমন জনপ্রিয় সেটা বোঝা যাবে না যদি বড় কোনও দলের সঙ্গে জোটে যায়।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, এনসিপি একটা উদীয়মান শক্তি হিসেবে তার সাংগঠনিক সক্ষমতা কতটুকু সেটা দেখার জন্য হলেও এককভাবে ভোট করা উচিত। যদি তারা সেটি করে তাহলে এখন হয়তো খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে রাজনীতিতে তারা ভালো করলেও করতে পারে।

এনসিপির মধ্যে নানা আলোচনা ও বৈঠকে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও দলটি এখনো এমন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে