ঘাটাইলে আজাদেই আস্থা তৃণমূল বিএনপি’র
লুৎফুর রহমান খান আজাদ। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে টানা চারবার এমপি ও তিনবার মন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী। জীবনের শেষবারের মতো এবারো তিনি লড়তে চান ধানের শীষ নিয়ে। তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান।
দলের তৃণমূল বলছে, তিনি মন্ত্রী হয়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, হেফজখানা, হাসপাতাল, দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা, ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করে একটি আধুনিক ও উন্নত উপজেলা হিসেবে ঘাটাইলকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। দিনের বেলায় পাহাড়ি জনপদ দিয়ে মানুষ যেখানে হেঁটে যেতে ভয় পেতেন- সেই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের আনাচে-কানাচে পাকা রাস্তা নির্মাণ করে আধুনিক ঘাটাইলের রূপকার হিসেবে তিনি খেতাব অর্জন করেছেন। ঘাটাইলে সেনানিবাস তৈরিতেও তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
জানা গেছে, আসনটি ধরে রাখতে এবং বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাঠ-ঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। নিয়মিত উঠান বৈঠক ও দলীয় গণসংযোগের পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচার করে চলেছেন। দুঃসময়ে দলের নিপীড়িত ও মামলা-হামলার শিকার নেতাকর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার ভোটাররা জানান, রাজনীতির বাইরেও একজন মানবিক ও পরোপকারী মানুষ লুৎফর রহমান খান আজাদ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে তাকে পুনরায় এমপি হিসেবে দেখতে চান ঘাটাইলের মানুষ। তারা মনে করছেন এবারো দল তাকে মনোনয়ন দিয়ে সঠিক মূল্যায়ন করবে। দলের বাইরেও আম-জনতার কাছে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। লুৎফর রহমান খান আজাদ কয়েকবার এমপি ও মন্ত্রী হলেও কোনো বাড়ি-গাড়ি, ধন-সম্পদ গড়েননি। কখনো দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হননি। ক্লিন ইমেজের লুৎফর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিএনপি বিপুল ভোটে পাস করবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় যখন কেউ কথা বলার সাহস পেতো না, দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না, সে সময়ও আজাদ ছিলেন সোচ্চার। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়া, তাদের আর্থিক সহযোগিতা এবং মামলার হাজিরার খরচ তার নির্দেশে বহন করা হতো। এ ছাড়াও করোনাকালীন তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধপত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম পৌঁছে দিতেন। অসহায় হতদরিদ্র কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার সন্তানকে বিয়ের খরচ জুগিয়েছেন। দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। অসহায় দরিদ্র প্রসূতি মাকে সন্তান প্রসবের (সিজার) ব্যয় বহন করেছেন। ছিন্নমূল ঘরহীন মানুষের মাথাগোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। অসংখ্য গরিব শিক্ষার্থী খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মন্ত্রী-এমপি হয়ে তার উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ টাকা ব্যয় করেছেন অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লুৎফর রহমান খান আজাদ ঘাটাইলকে একটি শান্তির নগরিতে পরিণত করেছিলেন। দলীয় হানাহানি, মারামারি ও বিরোধীদল দমনে কখনোই ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। শুধু নির্বাচন সামনে রেখে নয়, বরং সারা বছরই তিনি এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। তার সবচেয়ে সফলতা- মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সংগঠিত করা, যুবসমাজকে মাদকের থাবা থেকে রক্ষা করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করা। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। প্রবাসীরা মনে করছেন, আজাদের মতো একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সাধারণ ভোটাররা বিএনপি’র প্রতি আস্থা ফিরে পাবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন বাছাইয়ে আজাদকে এগিয়ে রাখার আরেকটি দিক হলো- তার সাংগঠনিক দক্ষতা। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এদেশে যতবার আন্দোলন হয়েছে ততবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর সারা দেশে বিএনপি যখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়, সেই আন্দোলনে লুৎফর রহমান খান আজাদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।






আপনার মতামত লিখুন
Array