টানা বৃষ্টিতে সখীপুরে শত শত কৃষকের ধান-সবজির ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
টানা বৃষ্টিতে সখীপুরে শত শত কৃষকের ধান-সবজির ক্ষতি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে মাঠের ধানগাছ হেলে পড়েছে, কোথাও জমিতে পানি জমেছে। নিচু এলাকার বহু ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। আধাপাকা আমন ধানগাছ মাটিতে লুটিয়ে আছে, সদ্য রোপণ করা বিভিন্ন শাকসবজির বীজ পানিতে তলিয়ে গেছে, আর আগাম শীতকালীন সবজি পচে যাওয়ার পথে। ফলে শত শত কৃষক পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায়।

রবিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কচুয়া, কালিয়া, সাড়াসিয়া, মহানন্দপুর, দিঘীরচালা, কতুবপুর, কীর্ত্তনখোলা, বড়চওনা, প্রতিমা বংকী, নলুয়া ও তক্তারচালা এলাকা ঘুরে দেখা যায়— টানা বৃষ্টিতে ধানগাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে।

কৃষকরা বলছেন, ধান পুরোপুরি পাকার আগেই এমন বৈরী আবহাওয়া ফলনে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। অনেক জমির আগাম রোপণ করা আলু পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়াও পেঁয়াজ, মুলা, পালং শাক, লাল শাকসহ আগাম শীতকালীন শাকসবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কচুয়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ধান এখনো পুরোপুরি পাকে নাই। কিন্তু বাতাসে গাছ হেলে পড়েছে, নিচু জমিতে পানি জমে গেছে। এখন খুব চিন্তায় আছি, না জানি কতটা ধান বাঁচাতে পারব।

বড়চওনা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম মিয়া বলেন, এই অবস্থায় ধান ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। আরও দুই একদিন এমন অবস্থা থাকলে আমরা আর ধান কেটে বাড়ি পর্যন্ত আনতে পারব না।

কীর্ত্তনখোলা এলাকার কৃষক আবুল কালাম জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলকপিসহ নানা সবজির গোড়ায় পচন ধরেছে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে খরচের টাকাও তুলতে পারব কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। নিচু জমিগুলোতে পানি জমে থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তবে এখনই চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, সখীপুর উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৭ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ হেক্টর জমির ফসল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।

সংবাদটি নিজস্ব সংবাদদাতাওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যের সঠিকতা ও মালিকানা বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে মূল সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।