জনতার আস্থার প্রতীক ও পরিবর্তনের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. আনিস খান
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার ও নাগরপুর) আসনে নতুন আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন মানবিক চিকিৎসক, সমাজসেবক ও সাহসী রাজনীতিক ডা. আনিস খান। চিকিৎসা পেশায় নিষ্ঠা, সমাজসেবায় নিবেদন এবং রাজনীতিতে আদর্শিক সাহসিকতার জন্য তিনি আজ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
১৯৮১ সালে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ডা. আনিস। তাঁর বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং মা পরিবার কল্যাণ সহকারী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী ও মানবিক গুণসম্পন্ন। সিংহরাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১০ম স্থান অর্জন করে ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। ২০০৫ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হন তিনি।
২০১০ সালে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন ডা. আনিস। সততা, একাগ্রতা ও মানবিক আচরণের জন্য অল্প সময়েই রোগী ও সহকর্মীদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৬ সালে অর্জন করেন এফসিপিএস (চক্ষু বিভাগ) ডিগ্রি, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ অর্জন। বর্তমানে তিনি ইস্পাহানী ইসলামিক চক্ষু হাসপাতালের গ্লুকোমা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত পরিচালনা করছেন বিনামূল্যের চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প, যার মাধ্যমে শত শত দরিদ্র ও অসহায় মানুষ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। ২০২৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ডা. আনিস আই কেয়ার হাসপাতাল”, যা অল্প সময়েই টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলায় মানসম্মত চিকিৎসা সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
ছাত্রজীবন থেকেই নেতৃত্বের গুণে নিজেকে আলাদা করে তুলেছিলেন তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদে অর্থ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন দুই দফায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের অনিয়ম ও কারচুপির বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদ জানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি, যা তাঁকে তরুণ সমাজে ন্যায়নিষ্ঠ রাজনীতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সমাজসেবাতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন ডা. আনিস। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, নারীর স্বনির্ভরতা ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। তাঁর উদ্যোগে অনেক বেকার তরুণ ক্ষুদ্র ব্যবসা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গ্রামের স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সহায়তা প্রদান তাঁর জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ।
টাঙ্গাইল-৬ আসনের জনগণের কাছে ডা. আনিস এখন জনপ্রিয় নেতৃত্বের প্রতীক। সম্প্রতি তিনি ৩১ দফা উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে দেলদুয়ার উপজেলার ৮টি ও নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১৮০টি ওয়ার্ডে সরাসরি জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা, যুব কর্মসংস্থান, মাদকমুক্ত সমাজ, নারীর ক্ষমতায়ন ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।
ডা. আনিসের ভাষায়, “আমার লক্ষ্য নাগরপুর ও দেলদুয়ারকে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ মডেল এলাকায় রূপান্তর করা। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসাই আমার মূল প্রেরণা।”
স্থানীয়দের মতে, ডা. আনিস শুধু একজন চিকিৎসক নন, তিনি একজন বন্ধু, যিনি প্রতিশ্রুতি নয়—কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
মানবিক চিকিৎসা, সমাজসেবা এবং আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতির এক অনন্য সংমিশ্রণ হয়ে উঠেছেন ডা. আনিস খান। সততা, কর্মদক্ষতা ও মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার তাঁকে জনতার আস্থার প্রতীক করে তুলেছে। টাঙ্গাইল-৬ আসনের মানুষ আজ একবাক্যে বলছেন—“মানবিক ডাক্তার আনিসই আমাদের পরিবর্তনের নেতা।”





আপনার মতামত লিখুন
Array