খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

নিউ ধলেশ্বরীর দু’তীরে ভাঙন, দুই পক্ষের উত্তেজনা চরমে

কালিহাতীতে বালু ব্যবসা নিয়ে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা!

সৌজন্যেঃ.. দৈনিক আমার দেশ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ , ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
কালিহাতীতে বালু ব্যবসা নিয়ে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা!

টাঙ্গাইলে বালু ব্যবসার জন্য বাল্কহেড আনা-নেওয়ায় নিউ ধলেশ্বরীর দু’তীরে ভাঙন:

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নিউ ধলেশ্বরী নদীর হাতিয়া, দশকিয়া ও বালিয়াচড়া অংশে বালু ব্যবসায়ীদের বাল্কহেড আনা-নেওয়ায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ওই তিন গ্রামের প্রায় ৪০টি বাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা বালু পরিবহনে ব্যবহৃত বড় বড় বাল্কহেড চলাচলে বাধা দিচ্ছে।

একারণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাশালী বালুখোকোরা ওই তিন গ্রামের যেসব সাধারণ ব্যবসায়ী উপ-শহর এলেঙ্গায় নানা ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের ১২ দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, যমুনার শাখা নিউ ধলেশ্বরী নদী দিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের ভারি বাল্কহেড চলাচলের কারণে নদীতীরের হাতিয়া, দশকিয়া ও বালিয়াচড়া গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয়রা নদী দিয়ে বাল্কহেড চলাচলে বার বার নিষেধ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। ফলে গত দুইমাসে ওই তিন গ্রামের ৪০টি বসতবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে।

ভারি বাল্কহেড চলাচলের কারণে বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলো হচ্ছে- দশকিয়া ও বালিয়াচড়া গ্রামের জুব্বার মুন্সির ছেলে আনোয়ার হোসেন, হাফেজের ছেলে মোহাম্মদ আলী, মহরের ছেলে আশান আলী, পাষান আলী, শাহাদৎ, মুছা, আকেজ আলীর ছেলে সাহেব আলী, কাদের মন্ডলের ছেলে বারেক, মুল্লুকচানের স্ত্রী ফিরোজা, কোরবানের ছেলে ছাত্তার, নায়েব আলীর ছেলে বক্কার, মেছের মন্ডলের ছেলে সোনা মিয়া, আজিমুদ্দিনের ছেলে আ. রশিদ, জাকের আলীর ছেলে আতর আলী, ছোবহানের ছেলে রবি, মামুনের ছেলে ইনছান, আজগর আলীর ছেলে আবুবকর, রমজান আলীর ছেলে গাজী, খাদেম ভাড়ারীর ছেলে আজিমুদ্দিন, খালেকের ছেলে মিনহাজ, মোন্তাজের ছেলে সুরমান ও একাব্বর, বারেকের ছেলে শাহালম, মুইচা শেখের ছেলে মাজেদ আলী, মোগল মন্ডলের ছেলে আব্দুর রহমান, ইনছুর ছেলে কোরবান আলী ও মালেকের ছেলে ইদ্রিছ আলী। এছাড়া হাতিয়া গ্রামের হাতেমের ছেলে মুজাম, ও মোকাদ্দেছ, মটরের ছেলে আজাহার, হযরতের ছেলে বারেক ও নয়ান আলী, শামছু তাতির ছেলে আব্দুল গনি, মোহম্মদের ছেলে ছানোয়ার, জলিল ও সুলতান, নবার ছেলে লিয়াকত, বাহেজের ছেলে রাজ্জাক ও ফজল, জুরান মোল্লার ছেলে হাছান, সালাম মোল্লার ছেলে উজ্জল, মাহমুদ মোল্লার ছেলে আবুল মোল্লা, আসোক আলীর স্ত্রী রমেছা, লালচানের ছেলে মুকু মোল্লা ও আজমত, আজগরের ছেলে রাজ্জাক ও শহিদ, গফুরের ছেলে আলামিন, ভোমর মোল্লার ছেলে পিয়ার আলী ও শহুরুদ্দি, মোগল সরকারের ছেলে রফিকুল এবং সালামের ছেলে তুলা মিয়ার বাড়ি-ঘর ভেঙে নদীতে চলে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসব পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। উপায়ান্তর না পেয়ে ওই তিন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বিক্ষুব্ধ মানুষ গত ২৭ আগস্ট থেকে নদীতে বালু পরিবহনকারী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে ধলাটেংগর, পাথাইলকান্দি, এলেঙ্গা ও পৌলি এলাকায় ২০টি বালু ঘাটে নদীপথে বালু পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।

গোলাপগঞ্জে খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সাত্তার কমিশনারের বালু মহাল থেকে প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড এ নদী পথে যাতায়াত করে থাকে। এসব ভারি ভারি বালুবাহী বাল্কহেডের সৃষ্ট ঢেউ নদীর দু’তীরে ভাঙনের সৃষ্টি করে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ২৭ আগস্ট নদী দিয়ে বাল্কহেড দিয়ে বালু পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় বালু ব্যবসায়ীরা ওই তিন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার, কামরুল ইসলাম, হায়দার আলী, হাবিবুর রহমান, শাহিন আলম, আমিনুর সহ ১২ জনের এলেঙ্গাস্থ ১২টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা দোকান গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে জবরদস্তি বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ওই তিন গ্রামের যেকোনো লোককে উপ-শহর এলেঙ্গায় পেলে গণপিটুনি দেওয়া হবে বলে হুমকী দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের এহেন কর্মকান্ডে ওই তিন গ্রামের মানুষ একতাবদ্ধ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, নিউ ধলেশ্বরী নদী দিয়ে ভারি বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের এলাকার এলেঙ্গাস্থ সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে তাড়িয়ে দিয়েছে। যেসব বালু ব্যবসায়ীরা হুমকী দিয়েছে তাদের মধ্যে মোখলেছ, জয়নাল, ফরহাদ সরকার, রাজু তালুকদার রাকিব হোসেন, সোহেল রানা, মুন্নাফ সরকার, এসকে আলম, সুখ মিয়া, আমিনুর, আনোয়ার ফকির, হযরত, উজ্জল সরকার ও ভূঞাপুরের বালু ব্যবসায়ী হালিম সরকার, তাপস অন্যতম।

এমতাবস্থায় বর্তমানে এলেঙ্গায় দোকান খুলতে না দেওয়া এবং নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

হাতিয়া, দশকিয়া ও বালিয়াচড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, নদীতে ভারি বাল্কহেড চলাচল করলে তাদের বাড়ি-ঘরে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এজন্য তারা প্রতিবাদে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়ি-ঘর রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রামের যারা এলেঙ্গায় দোকানপাট করে জীবিকা চালায়- তারা সেসব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী জানায়, নদী পথে ছোট-বড় সব ধরনের নৌ-যান চলাচল করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তুহাতিয়া, দশকিয়া ও বালিয়াচড়া গ্রামের কতিপয় ব্যক্তিকে মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ইজারা ঘাট থেকে বালু কিনে বাল্কহেডযোগে এনে আনলোডের পর বিক্রি করে থাকেন। তাদের বৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে ছোট ছোট ছেলেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন দোকানদারকে শাসিয়েছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম সরকার জানান, কয়েকদিন আগে কয়েকজন তরুণ সমিতির হাতিয়া, দশকিয়া ও বালিয়াচড়া এলাকার সদস্যদের দোকান বন্ধ করেছিল। কিন্তু তিনি সেগুলো খুলে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কালিহাতী থানার অফিসাপর ইনচার্জ(ওসি) মো. মাহবুব হোসেন জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। খোঁজখবর নিয়ে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে তিনি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, নদী পথে নৌযান চলাচলে বাধা দেওয়ার কোন কারণ নেই। তবে নিউ ধলেশ্বরী নদীর যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেসব এলাকার ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে