আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
আগামী নির্বাচনের পরে বড় আকারে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনের পরে বড় আকারে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন হবে, আমাদের রপ্তানি বাড়বে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার তৈরি হবে, যদি নির্বাচনে জনগণ তাদের রায় দেয়।
তিনি বলেন, “আমরা শিল্পখাতে যে চাকরি ও কর্মসংস্থান হারানো গেছে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করার সিদ্ধান্ত ও প্রোগ্রাম নিয়েছি। এছাড়া কোন খাতে কত আত্মকর্মসংস্থান হবে তার উপরও বিস্তারিত কাজ করা হয়েছে এবং কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেটারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতি কেউ চাইতেই পারে, এটি তাদের অধিকার। কিন্তু এটি বিএনপির দেয়ার বিষয় নয়, অন্য দলেরও দেয়ার কিছু নেই। কেউ যদি কিছু চায়, আমাদের যেখানে ঐক্যমত হয়েছে, তার বাইরেও কেউ চাইলে তার অধিকার আছে। সেটা করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশকে যদি বাঁচাতে হয়, কর্মসংস্থান ও আইনশৃঙ্খলার কথা ভাবতে হয়, তবে আজকের পরিস্থিতিতে সবাই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা নির্বাচিত সংসদ ও সরকার দেখতে চায়, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি করবে এবং যাদের পেছনে জনগণের শক্তি থাকবে। বর্তমান সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু বন্ধন নেই, যার ফলে আমরা আজ অনেক সমস্যার সম্মুখীন।”
সন্ধ্যায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুমুদিনী প্রাঙ্গণে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ।
এসময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মহসীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ




আপনার মতামত লিখুন
Array