খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

মানবতার পাশে ও রক্ত দানে সদা জাগ্রত মধুপুরের স্বেচ্ছাসেবীরা

সৌজন্যেঃ.. দৈনিক আমার দেশ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ , ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
মানবতার পাশে ও রক্ত দানে সদা জাগ্রত মধুপুরের স্বেচ্ছাসেবীরা

মানবতার পাশে ও রক্ত দানে সদা জাগ্রত মধুপুরের স্বেচ্ছাসেবীরা

 

তপ্ত দুপুরে শ্রান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে বন্ধুরা মিলে ঘরের এক কোনে বসে পাঠচক্র করছি। ভ্যাপসা গরম আর ঘামে একাকার ইলেক্ট্রিসিটি নেই তাই ফ্যান ঘুরছে না। সূর্য খাড়াভাবে মাথার উপর তা দিচ্ছে। এমন সময় এক স্বেচ্ছাসেবী ভাই মুহাম্মদ ইমরান বুলবুলকে জানালো এক বৃদ্ধা রক্তশূণ্যতা রোগীর জন্য (ও পজিটিভ) রক্তের প্রয়োজন। বুলবুল কালবিলম্ব না করে রাজী হয়ে গেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে মধুপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কাঙ্ক্ষিত ক্লিনিকে পৌছালেন। গিয়ে দেখতে পেলাম এক অসহায় বৃদ্ধা জীর্ণশীর্ণ অবস্থা প্রায় তার স্ত্রী সমেত বসে আছে। ভারী অসুস্থ সেই সাথে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে। রক্ত শূন্যতায় কাবু হিমোগ্লোবিন খুবই কম। অতপর যথারীতি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ও ক্রস মেসিং সম্পন্ন হলো। এরপর বুলবুলের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক বৃদ্ধ মুরুব্বিকে পাশের বেডে শুইয়ে রক্ত প্রদান করা হলো। এমন সময় তার আত্মীয় স্বজন যারা ক্লিনিকে উপস্থিত ছিলো তাদের মুখখানা উজ্জ্বল হয়ে গেলো। তারা বুলবুলের কাছে এসে সুখ দুঃখের কথা বলতে লাগলো। রক্ত সংগ্রহের জন্য তাদের কত প্রচেষ্টা ছিলো তা অন্তহীন। খুবই আবেগঘন চাহনিতে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বুলবুলের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খোঁজ খবর নিলেন। পরিশেষে বুলবুলের জন্য দোয়া করতে ভুললেন না।

এমন হাজারোও সাফল্যের গল্প তৈরী করেছেন মধুপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী ভাই ও বোনেরা। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় রক্ত দানে হাজারোও রোগী ফিরে পেয়েছেন নতুন জীবন। শুরুটা ২০১১ সালের দিকে যখন মধুপুরে “মধুপুর জেলা চাই” আন্দোলন তুঙ্গে তখন থেকেই মানবিক কাজে এগিয়ে আসেন মুষ্টিমেয় কিছু ভাই। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরী হয় “মধুপুরবাসী গ্রুপ”। এক যুগ পেরিয়ে সমানতালে মানবতার পাশে মধুপুরবাসী গ্রুপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রক্ত দানের পাশাপাশি যেকোন মানবিক সহায়তায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে মধুপুরবাসী। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মধুপুরে মানবিক কাজ গতিশীল হয়েছে। ধারাবাহিকতায় এগিয়ে আসেন আলোকিত মধুপুর। যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় মধুপুরের আনাচে-কানাচে মানবিকতার আলো প্রজ্বলিত হয়। রক্ত দানের পাশাপাশি দুস্থ ও অতিসয় দরিদ্রদের পূর্নবাসন বা ইভেন্ট পরিচালনা করে আলোকিত মধুপুর। মানবিকতায় অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সাম্প্রতিক সময়ে মধুপুরের পরিবহন সেবার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছে আলোকিত মধুপুর। এই সমস্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মুলত স্কুল ও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত। বিনামূল্যে রক্ত দানে মধুপুরে দিগন্ত উন্মোচন করেছে হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটি। মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব যখন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে ঠিক সেই সময়টাতে ২০২১ সালে ৩ রা আগস্ট তরুণ ও উদ্যোমী শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হয় হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটি। যদিও তাদের রক্ত দানের যাত্রা শুরু হয় আরও আগে থেকে। শুরুর সময়টাতে রক্ত দানের জন্য মধুপুরের বাহিরেও তাদের স্বাতন্ত্র্য উপস্থিতি ছিলো। সূদুর রাজধানী কিংবা ময়মনসিংহে ডোনার নিয়ে পৌছে যেত সংগঠনটির সদস্যরা। এখনো এর ধারাবাহিকতা বিরাজমান। তবে সংগঠনটি মধুপুর কেন্দ্রিক কিছুটা গতিশীল। রক্ত দানে যে মানসিক প্রশান্তি! এই অনূভুতিটাই সংগঠনের সদস্যদের কাছে বিশেষ পাওয়া। এখন পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সময় মতো রক্ত সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে রক্ত ডোনেট করা পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় নিরলসভাবে কাজ করে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটি।

রক্ত দান সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নবদিগন্ত ব্লাড গ্রুপের সভাপতি সাইফুল্লাহ বিন মানসুর বলেন, রক্ত দান একটি মহৎ কাজ। দেশে রক্তের অভাবে অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করেন। তবে আশার কথা ইদানীং তরুণরা স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসছে। যা ইতিবাচক। মধুপুরে নবদিগন্ত ব্লাড গ্রুপ ছাড়াও বেশকিছু সংগঠন স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তদানকে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহাসিকভাবেই মানবিক। তারা যুগে যুগে মানবতার তরে অসংখ্য নজির স্থাপন করেছে।সেইদিক থেকে বাংলাদেশের তরুণরা এগিয়ে। তরুণ সমাজ সকল কুসংস্কার থেকে সচেতন হয়ে রক্তদান ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটি’র উদ্যোক্তা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আরশেদ আলম বলেন, দুনিয়া সবচেয়ে হিংসার জায়গা মানবিক সংগঠন গুলো আমাদের উচিত একে অপরের প্রতি হিংসা না করে প্রতিযোগী হওয়া এতে মানুষের উপকার হবে৷ মানবিক কাজ শুরু হয় ২০১৪ তে তবে পরবর্তীতে রক্তদানের কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষে ১০-১২ জন বন্ধু নিয়ে ২০২১ সালের ৩ আগষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ক্রিয়েট করে হৃদয়ে মধুপুর ব্লাড সোসাইটি গ্রুপ৷ ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি তা বাড়তে বাড়তে পুরোদস্তর সংগঠনটি দাড়িয়ে যায়৷ তবে কাজটা মুটেও সহজ ছিলনা কাজটা করতে গিয়ে পরিবার ও অসাধু মানুষের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে৷ তবে কোন বাধাই দমে রাখতে পারেনি । উল্টো এখন তরুণদের রক্তদানে উৎসাহিত করা হয় পরিবার থেকে। পরিবার ও বন্ধুস্বজন যাঁরা আগে কখনো রক্ত দেননি, তাঁরাও তিন মাস পরপর রক্তদানে উৎসাহিত হচ্ছেন। যা আশা জাগানিয়া। স্বপ্ন আছে আমাদের মধুপুর সাংগঠনটির মাধ্যমে একটা ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার৷ দুঃসময় অসহায় মানুষ গুলো যাতে সহজেই রক্ত পেতে পারে৷

বর্তমানে মধুপুরে স্বেচ্ছাসেবামুলক কাজ করছে বেশ কিছু সংগঠন যাদের কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই নিরেট মানবিক মূল্যবোধ থেকে মানবিকতার পাশে তাদের অবস্থান। স্বপ্ন বুনন, নবদিগন্ত ব্লাড গ্রুপ মধুপুর, রক্তের বন্ধন মধুপুর, মধুপুর নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম, সিংগারবাড়ী নবজাগরণ সমাজ সেবা সংঘ প্রমুখ সংগঠন মানবিকতার পাশে সর্বদা বিরাজমান।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে