খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

সোয়া দুই লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এস আলমের বিরুদ্ধে

সৌজন্যেঃ.. দৈনিক আমার দেশ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
সোয়া দুই লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এস আলমের বিরুদ্ধে
 

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নামে-বেনামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে ব্যাংক মাফিয়াখ্যাত এস আলম গ্রুপ। এই অর্থের বেশিরভাগই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গ্রুপটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি আরো প্রায় ৩৪টি অভিযোগের তদন্ত চলছে।

দুদক জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপ ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয় এবং ওই অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই গ্রুপটি ৯০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে এসেছে, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য স্থানে ভুয়া চটপটির দোকান ও রেস্তোরাঁর নামে প্রতিষ্ঠান খুলেও ঋণ নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর অধিকাংশই হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। মানি লন্ডারিং, ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থপাচারের অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, বেসরকারি খাতের সফল ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক থেকেই তারা ৯০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এ ব্যাংকসহ অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রুপটি টাকা বের করে নিয়েছে, সব প্রতিষ্ঠানই এখন প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুদক জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো একটি স্বল্পোন্নত দেশে শুধু একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুই লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এই প্রথম। এস আলম গ্রুপের এই হরিলুটে শুধু চেয়ারম্যান সাইফুল আলমই নয়; তার দুই ছেলে ও স্ত্রীও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা গ্রুপটির আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সহযোগিতা করেছে, তাদের নামেও মামলা করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে আরো ১৫টির অধিক অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হবে। আদালত ইতোমধ্যে এস আলমের নামে রেড নোটিস জারি করেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আক্তারুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, এস আলম গ্রুপের নামে এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৫ মার্চ এক হাজার ৫৪০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্ত্রীসহ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর ১৯ মে প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অর্থ লুটপাটে ৪৩ জনকে আসামি করা হয়।

১৯ আগস্ট ২০৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুল আলম, সিদকার গ্রুপের রন হক সিকদার, রিক হক সিকদারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, চটপটির দোকান ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খোলেন তিনি। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়।

২৮ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ২৯ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা গায়েবের অভিযোগে তিনিসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে ৫৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ করা হয়। অন্যটিতে ৯টি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে এক হাজার ৭৭ কোটি ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

১৭ আগস্ট প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকের বিপুল টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে দুদক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং চট্টগ্রাম নগরীর লা-এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁর মালিক নাজমে নওরোজসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

৩ সেপ্টেম্বর ৭৫ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে সাইফুল আলমের দুই ছেলে ও কর কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর পে-অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে তার দুই ছেলেসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে।

এগুলো ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি জালিয়াতির ঘটনায় সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে।

জানা গেছে, সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা এখন সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন। তারা সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। সেখানে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছেন। দুদকের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়েই সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ করেছেন তারা।

দুদক জানিয়েছে, সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে একাধিক আদেশে আদালত অর্থ জব্দের আদেশ দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি দুদকে হাজির হননি। আইনগতভাবে মামলা মোকাবিলা না করে তিনি বরং উল্টো অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্য উপদেষ্টাদের কাছে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিস পাঠিয়েছেন তার আইনজীবীরা। নোটিসে বলা হয়েছে, ছয় মাসের মধ্যে দুপক্ষ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে তারা আন্তর্জাতিক সালিশি কার্যক্রম শুরু করবেন।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিসে বলা হয়, সাইফুল আলমের পরিবার ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (স্থায়ী বসবাস) পাস এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরাও ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন বলেও আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীদের পাঠানো ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলার আসামি সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারির আদেশ দেয় আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

পতিত আওয়ামী লীগের শাসনামলজুড়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এ কাজে গ্রুপটিকে সহযোগিতা করেন তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীরা।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে