খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

আতঙ্কে ৫ ব্যাংকের আমানতকারীরা

প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫ , ১১:১৫ অপরাহ্ণ
আতঙ্কে ৫ ব্যাংকের আমানতকারীরা
 

দেশের পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের লাখ লাখ গ্রাহক অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। এসব ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা একদিকে যেমন নিজেদের জমানো টাকা সহজে তুলতে পারছেন না, অন্যদিকে মেয়াদ পূর্তির পর ডিপোজিট করা অর্থের প্রতিশ্রুত মুনাফা নিয়েও ব্যাংকগুলো নিয়মবহির্ভূত আচরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে গ্রাহকদের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এই পাঁচটি ব্যাংক হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।

সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকের ভোগান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডিপোজিটের অর্থ নিয়ে প্রতারণা। এক্সিম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোড শাখায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। মিরসরাইয়ের প্রবাসী জুয়েল আচার্য্য এবং তাঁর স্ত্রী লিপি আচার্য্য ২০১৯ সালে ‘মুদারাবা সুপার সেভিং ডিপোজিট’ প্রকল্পে যথাক্রমে ১০ লাখ ও আট লাখ টাকা জমা রাখেন। ব্যাংকের শর্ত ছিল ছয় বছরে এই অর্থ দ্বিগুণ হবে, অর্থাৎ মুনাফার হার ছিল প্রায় ১৬.২৫ শতাংশ।

জুয়েল আচার্য্যের অভিযোগ, চলতি বছরের ৩০ জুন মেয়াদ পূর্তির পর টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা প্রতিশ্রুত মুনাফার পরিবর্তে মাত্র ৬.২৫ শতাংশ সুদ দেবে। ফলে ২০ লাখ ও ১৬ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও জুয়েল আচার্য্য ও তাঁর স্ত্রী পাবেন যথাক্রমে ১৩ লাখ ও ১১ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহক জুয়েল আচার্য্য ব্যাংকটির এই আচরণকে আইন ও ব্যাংকের নিয়ম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অন্যান্য ব্যাংক লোকসান সত্ত্বেও তাদের শর্ত অনুযায়ী গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধ করলে এক্সিম ব্যাংক কেন প্রতারণা করবে?

এর প্রতিবাদে গত ২৩ জুলাই তিনি ও তাঁর স্ত্রী ব্যাংকটির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

জুয়েল আচার্য্য ও তাঁর স্ত্রীর মতোই এমন প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন আরো অনেক গ্রাহক।
গ্রাহকের টাকা তুলতে না পারার অভিযোগ অনেক দিন ধরে। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই পাঁচটি ব্যাংকের গ্রাহকরা সামান্য কয়েক হাজার টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। অনেকে আবার কোনো অর্থই তুলতে পারছেন না। ফলে আমানতকারীরা চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

বহু গ্রাহককে ব্যাংকের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
সংগঠনটির আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি বলেন, ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ আত্মসাৎকারীদের সম্পদ দ্রুত জব্দ ও বিক্রি করে গ্রাহকদের আমানত ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংগঠনটির সদস্যসচিব খুরশীদ জামিল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যাংকগুলো জমানো টাকা দিতে পারছিল না, এখন ডিপোজিটের টাকা নিয়েও প্রতারণা শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এই ব্যাংকগুলোকে স্থিতিশীল করতে ১৪টি ব্যাংকের পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ সহায়তাও লাখ লাখ গ্রাহকের বড় অঙ্কের সঞ্চয় ফেরত দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৯২ লাখ গ্রাহককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই ব্যাংকগুলোতে আমানত তোলার যে হিড়িক পড়েছিল, সেই চাপ এখনো সামাল দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থই বাইরে চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘দুশ্চিন্তার কিছু নেই’ বার্তা গ্রাহকদের কাছে এক ধরনের উপহাসের মতো শোনাচ্ছে।

গ্রাহকদের এই ভোগান্তির মধ্যেই গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সংকটাপন্ন পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি নতুন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকের নাম হতে পারে ‘ইন্টার ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ বা ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি’।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই একীভূত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সব দায় ও সম্পদ গ্রহণ করে নতুন ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তিনি নিশ্চিত করেন, এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মচারী চাকরি এবং কোনো আমানতকারী তাঁদের আমানত হারাবেন না। তবে এই আশ্বাসের পরও প্রতারণা ও জমানো টাকা তুলতে না পারার ভোগান্তির কারণে লাখ লাখ গ্রাহকের মাঝে আতঙ্ক ও হতাশা এখনো রয়েছে।

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে