খুঁজুন
টাঙ্গাইল, রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

ইসলামে সময়ের গুরুত্ব

সৌজন্যেঃ.. দৈনিক আমার দেশ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ , ৩:১৪ অপরাহ্ণ
ইসলামে সময়ের গুরুত্ব
 

সাধারণত কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা জানেন সময় কত বেশি মূল্যবান। একটি প্রবাদ আছেÑ‘সময় হলো সোনার মতো দামি’। অনেকেই এ কথা বিশ্বাস করেন। আর ইসলামে সময় স্বর্ণ কিংবা বিশ্বের যেকোনো মূল্যবান বস্তুর চেয়ে বেশি দামি। সময়ের মূল্য কী, ইসলাম শুধু তা-ই শেখায় না। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ইসলাম মানবজাতিকে বিশেষভাবে শেখায়, সময়ের মূল্য দিতে হবে কীভাবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা ও তার রাসুল মুহাম্মদ (সা.) খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন, সময়ের মূল্য, আমরা অবশ্যই সময় নষ্ট করব না এবং কীভাবে আমরা সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারিÑএসব সম্পর্কে। আল্লাহ ও রাসুল (সা.) বলেছেনÑআমরা ঈমান বৃদ্ধি করে সাফল্য অর্জনের জন্য প্রজ্ঞাপূর্ণ উপায়ে সময়কে কাজে লাগাতে পারি। আর এই সাফল্য হলো বিশেষ করে পরকালের চিরন্তন সফলতা।

কোরআন ও সুন্নাহ, উভয়েই মুসলমানদের নির্দেশ দেয় সময়ের ব্যাপারে সচেতন হতে। আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এই পৃথিবীর জীবন অস্থায়ী ছাড়া কিছু নয়। আমরা জানি না কখন আমাদের মৃত্যুর সময় নির্ধারিত রয়েছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমাদের অবশ্যই সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সাফল্যের প্রয়োজনেই আমরা কখনো সময়ের অপচয় বা অপব্যবহার করতে পারি না।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের জন্য দুটি আশীর্বাদ রয়েছে, যা অনেকেই হারিয়ে ফেলে। এগুলো হলোÑভালো কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও সময়। (বুখারি শরিফ ৮/৪২১)

বিজ্ঞাপন

সত্যিই, যখন আমরা সময় নষ্ট করি, তখন আমরা মহান আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করি। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সময়কে অবশ্যই ব্যয় করতে হবে আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য পূরণের জন্য। তার অর্থ হচ্ছে, পুরো জীবনভর আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহতায়ালা আল-কোরআনে এটাকে খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করিনি (শুধু) আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে। আমি তাদের কাছ থেকে কোনো জীবিকা চাই না কিংবা বলি না যে, তারা আমাকে খাওয়ানো উচিত। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালাই তো জীবিকাদাতা, শক্তির আধার ও পরাক্রান্ত। (আল-কোরআন, সুরা আজ জারিয়াত, আয়াত ৫৬-৫৮)

তিনি আরো বলছেন, অতএব আপনি আপনার পালনকর্তার প্রশংসাগুলো মহিমান্বিত করুন এবং সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান। আর প্রতিপালকের ইবাদত করুন, যে পর্যন্ত না আপনার কাছে নিশ্চিত কথা আসে। (আল-কোরআন, সুরা হিজর, আয়াত ৯৮-৯৯)

আমরা যা কিছুই কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক করি না কেন, তা-ই ইবাদত। আর ইবাদত অবশ্যই করতে হবে আন্তরিকতার সঙ্গে; শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। আমরা আমাদের সময় ব্যবহার করা উচিত কল্যাণকর কাজে। বিশেষত ওইসব কাজই আমাদের করা উচিত, যেগুলো আমাদের আল্লাহতালার আরো ঘনিষ্ঠ করবে এবং অর্জন করবে তার করুণা ও ক্ষমা।

কোরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে আরো জানার মধ্য দিয়ে আমাদের সময়কে লাগাতে হবে কাজে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) আমাদের কী করার নির্দেশ দিয়েছেন, সে সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আমাদের থাকতে হবে অবশ্যই। একই সঙ্গে, তারা আমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকার জন্য কী কী করণীয়, তা-ও সঠিকভাবে জানতে হবে। এটা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক; যাতে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভ করতে পারি।
পরম মর্যাদাবান আল্লাহ এটাকে খুবই স্পষ্ট করে এভাবে বলেছেন, ‘হে বিশ্ববাসীরা! আল্লাহকে মেনে চলো আর মান্য করো বাণীবাহককে (মুহাম্মদ) এবং তোমাদের কাজকর্ম বৃথা যেতে দিয়ো না।’ (আল-কোরআন, সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩)

ওপরে উল্লিখিত ঐশী নির্দেশের স্বাভাবিক অনুসিদ্ধান্ত হচ্ছেÑআমাদের নিজেদের অবশ্যই প্রশ্ন করা উচিত : আমরা কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-কে মেনে চলছি? সঠিক ঈমানের সন্ধান লাভ, সৎ কাজ করা, সত্যের নির্দেশদান কিংবা দ্বীনের দাওয়াতের জন্য এবং ধৈর্যশীল ও অবিচল হওয়ার প্রয়োজনে আল-কোরআন এবং সুন্নাহ সম্পর্কে জানতে আমরা সময় দিয়েছি কতটুকু? সময় পার হতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কি নিশ্চিত যে, মহান আল্লাহর ইবাদত ও সন্তোষের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে সময়কে নিয়োজিত করছি? আমরা কি কোরআন শরিফের এই আয়াতগুলো থেকে পথনির্দেশনা গ্রহণ করছি, যেগুলো আমাদের জন্য জ্ঞানের উৎস?

‘কালের কসম, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে, তারা ছাড়াÑযারা ঈমানদার, সৎ কর্মশীল, পরস্পরকে সত্যনিষ্ঠার নির্দেশ প্রদানকারী এবং ধৈর্য ধারণকারী ও অবিচল। (আল-কোরআন, সুরা আসর, আয়াত ১-৩)

কোরআনের ওপরে বর্ণিত নির্দেশ মোতাবেক, সময়ের মূল্যকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নিজেদের সুশৃঙ্খল করে তুলতে হবে। সৎকাজে আমাদের অবশ্যই দ্রুত গতি থাকতে হবে। এতে আমাদের ঈমান বাড়বে। ফলে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও ক্ষমা অর্জনের যোগ্যতা আমরা পারব হাসিল করতে। আমাদের মনে রাখা উচিত, শেষ বিচারের দিনে আমাদের জিজ্ঞেস করা হবেÑআমরা আমাদের জীবন, সম্পদ ও জ্ঞান কীভাবে ব্যয় করেছি, সে ব্যাপারে। অন্য কথায়, আল্লাহ যা আমাদের দিয়েছেন, তার প্রতিটি জিনিস আমরা কীভাবে খরচ করলাম, সে সম্পর্কে আমাদের প্রশ্ন করা হবে। নিম্নের হাদিস থেকে তা জানা যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবন দিবসে মানুষকে পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। তার জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে কীভাবে তা ব্যয় হয়েছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে বলা হবে, কেমন করে সে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে? সম্পদের বিষয়ে প্রশ্ন হবে, এই সম্পদ সে অর্জন করল কোত্থেকে? আর কীভাবেই বা তা খরচ করেছে? তার যে জ্ঞান ছিল, তা দিয়ে সে কী করেছে?’
আবু কারজাহ নাদলাহ ইবনে উবাইদ আল আসলামি বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর বান্দাকে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে, যে পর্যন্ত না তাকে প্রশ্ন করা হয় : তার বয়স সম্পর্কে আর কীভাবে তা ব্যয় করেছে এবং তার জ্ঞান সম্পর্কে, সে তা ব্যবহার করেছে কীভাবে; তার সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে, কোত্থেকে এটা অর্জন করল এবং কোন কোন কাজে তা ব্যয় হয়েছে; আর তার দেহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে, কীভাবে এটা ব্যবহার করা হয়েছে।’

যদি আমরা নিজেদের বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করি, তাহলে বলতে হয়, আমরা কি সর্বশক্তির অধিকারী আল্লাহতায়ালাকে খুশি করার জন্য আমাদের সময়কে বুদ্ধিমত্তাসহকারে ব্যয় করে আসছি? আমরা কি কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে আমাদের জীবনটা ব্যয় করছি? আমরা কি বাস্তব জীবনে ইসলামের অনুসারী? আমাদের কজনই বা মুমিন বা ঈমানদার কিংবা মুত্তাকি, অর্থাৎ আল্লাহর ভয় পোষণকারী? আল-কোরআন ও সুন্নাহর কতটুকু আমরা জানি? যা আমরা জানি, তা কী কাজে পরিণত করি এবং সে জ্ঞান অন্যদেরও দিই; অন্তত আমাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কি সেই জ্ঞান বিতরণ করি? যা সত্য ও ন্যায়, অন্যদের আমরা কি কখনো তার নির্দেশ দিয়েছি এবং অসৎ কাজ করতে তাদের কি নিষেধ করেছি?

সফল হতে হলে, আমাদের সময়কে আমরা যেন প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজে লাগাই। সর্বশক্তিমান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে, এমন সৎকাজের পরিকল্পনার মাধ্যমে তা করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ইসলাম সম্পর্কে জেনে সময় ব্যয় করতে হবে। সে জ্ঞান হবে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক।

ভাষান্তর : মীযানুল করীম

                                                                       

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বহুদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে প্রার্থী না করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের পতাকা যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

দলের দুঃসময়ে নেতৃত্বে টিটো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা-মোকদ্দমা ও হামলার শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ করে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবু তিনি পিছু হটেননি-বরং আরও সাহসী ও দৃঢ়ভাবে মাঠে থেকেছেন।

একজন তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি কখনও ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

তৃণমূলের পুনর্জাগরণ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গড়ে তোলেন, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আনেন। বর্তমানে কালিহাতী বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থানে রয়েছে।

একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

রাজনৈতিক বাস্তবতায় যোগ্য প্রার্থী স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু একজন সংগঠকই নন-তিনি একজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ, যার জনসম্পৃক্ততা এই আসনে তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে নতুন করে আশাবাদী করতে পারে।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “বেনজীর আহমেদ টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি একটি বাস্তব ও শক্তিশালী লড়াইয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারবে। দলের জন্য এটি হবে কৌশলগতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”

মানুষের ভালোবাসায় ঘেরা একজন সংগঠক কালিহাতীর সাধারণ মানুষ বেনজীর আহমেদ টিটোকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও চেনেন। বিপদে-আপদে, দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন দলের পাশে, তেমনি ছিলেন সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল।

একজন সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একটাই চাওয়া-দল যেন পুনর্বিবেচনা করে এই আসনে বেনজীর আহমেদ টিটোকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তাদের বিশ্বাস, যিনি নির্যাতনের মধ্যেও সংগঠনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনিই বিএনপির পতাকাকে আগামী নির্বাচনে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কালিহাতীর মানুষের প্রত্যাশা একটাই- দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই যেন দায়িত্ব তুলে দেয় বিএনপি।

ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল উপজেলাজুড়ে দলীয় বিভাজনের চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঘাটাইল জিবিজি কলেজ (ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজ) মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামের সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জিবিজি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা টাঙ্গাইল-৩ আসন (ঘাটাইল) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা লুৎফর রহমান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঘাটাইল আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এই দুজনের বিকল্প হিসেবে ঘাটাইলে অন্য কাউকে তারা মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল-৩ আসন এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরের বাড়ি ঘাটাইলে নয়, বাসাইল উপজেলায়। ঘাটাইলের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান খান আজাদ ও তৃণমূলের ত্যাগী নেতা মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু, তাদের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নাসিরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা মানি না, কখনো মানব না। দ্রুতই নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে লুৎফর রহমান খান আজাদ বা মাইনুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।
সমাবেশে লুৎফর রহমান আজাদ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বিপ্লব ও সংহতির চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াবদুল হক নাসিরের নেতৃত্বে উপজেলার ঘাটাইল গণপাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল।

বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিশাল গাড়ি বহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।

শনিবার দিনব্যাপী নিজ আসনে প্রায় ১০ হাজার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এ শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাসাইল ও সখীপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আযম খানকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। শোডাউনে টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চলছে। যাতে দল ও দেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবেই। খালেদা জিয়া আপনাদের সালাম দিয়েছেন ও ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন৷। আমি ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েই বিগত ১৭ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবো পাঁচ বছরে।

এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে বাসাইল ও সখীপুরের সকল মসজিদের বিপুল উন্নয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ ঘাটাইল আসনে আজাদ বা মাইনুলকে চান ঘাটাইলবাসী বাসাইল-সখীপুরে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খানের শোডাউন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় মধুপুরে শ্রমিকদলের শোভাযাত্রা দেশের ৪ বন গবেষণা কেন্দ্রের দুরবস্থা, বরাদ্দের অভাবে হচ্ছে না সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: স্বপন ফকির জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি ভূঞাপুরে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকার দায়ের কোপে প্রেমিক হাসপাতালে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে