বৃষ্টিপাত শেষে টাঙ্গাইলের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে
টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে শীতকালীন শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা কমে এসেছে। ক্রেতাদের মনেও ফিরেছে স্বস্তি। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সব মিলিয়ে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় ক্রেতাদের জন্য এসেছে স্বস্তির খবর। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, সরবরাহ অব্যাহত থাকলে এই স্থিতিশীলতা আরও কিছুদিন টিকবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বিশেষ করে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি দামের পতনের প্রভাব পড়েছে বরবটি, ঢেঁড়শ, পটলসহ অন্যান্য সবজিতেও।
য় বিক্রি হওয়া শিম এখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ও কাঁকরোলের দাম কমে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ও পটল ৪০-৫০ টাকায়। উস্তা, ঝিঙা, মূলা, টমেটো, শসা-সবকিছুর দামও ২০-৪০ টাকা কমেছে। চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙা ৬৫-৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, লতি ৬৫ টাকা, করলা ৯০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা দরে। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আলু এখনও প্রতি ৬ কেজি ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দাম কমছে, আমরাও কম দামে বিক্রি করছি। ফলে ক্রেতারাও সহজে সবজি কিনতে পারছে। দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা কমে ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকার বেশি ছিল। তবে সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও আমদানি করা মসুর কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে ৯৫-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম সামান্য কমে ১০০-১০৫ টাকা।






আপনার মতামত লিখুন
Array